বোল্ড হলেন তামিম,চাপে বাংলাদেশ
সিটি নিউজ : বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ৩৮২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছে বাংলাদেশ।
স্কোর: ২৭.৫ ওভারে ১৫৯/৩।
বোল্ড হয়ে ফিরলেন তামিম
মিচেল স্টার্কের অফ স্টাম্পের বলটা থ্যার্ডম্যানে খেলতে চেয়েছিলেন তামিম ইকবাল। তবে ব্যাটের কানায় লেগে বল ভেঙে দেয় স্টাম্প।
৭৪ বলে ৬ চারে ৬২ রান করেন তামিম। তার বিদায়ের সময় ২৪ ওভার ১ বলে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৪৪ রান। মুশফিকুর রহিম ২৩ রানে অপরাজিত আছেন। নতুন ব্যাটসম্যান লিটন দাস।
তামিমের ফিফটি
দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ফিফটি করেছেন তামিম ইকবাল। ৬৫ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করতে ৫টি চার মারেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। বিশ্বকাপে এটি তামিমের চতুর্থ ফিফটি, এবারের আসরে প্রথম।
২১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১২০ রান। তামিম ৬৬ বলে ৫১ ও মুশফিকুর রহিম ৩৩ বলে ৩৩ রান ও লিটন দাস ১১ বলে ৯ রানে অপরাজিত আছেন।
সাকিবের আরেক কীর্তি
আজ ৪১ রান করে এবারের বিশ্বকাপে পাঁচ ম্যাচে সাকিবের মোট রান হয়েছে ৪২৫। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে যেকোনো ফরম্যাটে কোনো সিরিজ কিংবা টুর্নামেন্টে ৪০০ রান করলেন ওয়ানডের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
ভালো জুটির পর সাকিবের বিদায়
সাকিব আল হাসানের বিদায়ে ভেঙেছে ৭৯ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। লেগ স্টাম্পের ওপর মার্কার স্টয়নিসের স্লোয়ার বল লেগ সাইডে খেলতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তবে লিডিং এজ হয়ে ক্যাচ উঠে যায় মিড অফে।
৪১ বলে ৪ চারে ৪১ রান করেন সাকিব। তার বিদায়ের সময় ১৮ ওভার ১ বলে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০২ রান। তামিম ৪৪ রানে অপরাজিত আছেন। নতুন ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।
তামিম-সাকিব জুটির ফিফটি
দ্বিতীয় উইকেটে পঞ্চাশ রানের জুটি গড়েছেন তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। ৫৪ বলে ছুঁয়েছে জুটির পঞ্চাশ। সাকিব উইকেটে যাওয়ার পর থেকেই শট খেলছেন। তামিম খেলছেন সাবধানে।
১৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৭৫ রান। তামিম ৪২ বলে ২৭ ও সাকিব ২৮ বলে ৩১ রানে অপরাজিত আছেন।
পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের ৫৩/১
প্রথম পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে সৌম্য সরকারের উইকেট হারিয়ে ৫৩ রান তুলেছে বাংলাদেশ। সৌম্যর বিদায়ের পর তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন। তামিম ৩৫ বলে ২৩ ও সাকিব ১৭ বলে ১৩ রানে অপরাজিত আছেন। বাকি ৪০ ওভারে বাংলাদেশকে এখনো করতে হবে ৩২৯ রান।
রান আউট সৌম্য
আগের ওভারে মিচেল স্টার্ককে টানা দুই চার মেরেছিলেন সৌম্য সরকার। পরের ওভারে রান আউট হয়ে ফিরলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
প্যাট কামিন্সকে মিড অনে খেলে সিঙ্গেলের জন্য ছুটেছিলেন তামিম ইকবাল। নন স্ট্রাইক থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন সৌম্যও। কিন্তু মাঝপথে গিয়ে সৌম্যকে ফিরিয়ে নিজেও ফিরে আসেন তামিম। অ্যারন ফিঞ্চ বল ধরে সরাসরি থ্রোয়ে ভেঙে দেন স্টাম্প, সৌম্য আর ফিরতে পারেননি।
৮ বলে ২ চারে সৌম্য করেন ১০ রান। ৩ ওভার ৫ বলে বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ১ উইকেটে ২৩ রান। ১৫ বলে ৮ রানে অপরাজিত আছেন তামিম। তিন নম্বরে নেমেছেন সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশের সামনে বিশাল লক্ষ্য
শেষ ওভারে ১৩ রান তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। ৫০ ওভারে তাদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩৮১ রান। বিশ্বকাপে এটি অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। বিশ্বকাপে এত রান তাড়া করে জিততে পারেনি কোনো দল। ২০১১ বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ড সর্বোচ্চ ৩২৮ রান তাড়া করে জিতেছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
বাংলাদেশকে তাই গড়তে হবে নতুন রেকর্ড। আগের ম্যাচে নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ আর বিশ্বকাপ ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২২ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানো বাংলাদেশ এবার অবিশ্বাস্য কিছু করতে পারে কি না, সেটাই এখন দেখার।
অস্ট্রেলিয়ার বড় সংগ্রহে বড় অবদান ডেভিড ওয়ার্নারের। ১০ রানে জীবন পেয়ে ১৪৭ বলে ১৬৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন বাঁহাতি ওপেনার। আরেক ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ৫৩, উসমান খাজা ৮৯ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১০ বলে করেন ৩২ রান। ৫৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার সৌম্য সরকার। মুস্তাফিজুর রহমান ৬৯ রানে নেন একটি উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ৩৮১/৫ (ফিঞ্চ ৫৩, ওয়ার্নার ১৬৬, খাজা ৮৯, ম্যাক্সওয়েল ৩২, স্টয়নিস ১৭*, স্মিথ ১, ক্যারি ১১*; মাশরাফি ৮-০-৫৬-০, মুস্তাফিজ ৯-০-৬৯-১, সাকিব ৬-০-৫০-০, রুবেল ৯-০-৮৩-০, মিরাজ ১০-০-৫৯-০, সৌম্য ৮-০-৫৮-৩)।