সিটিনিউজবিডি : ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলায় নড়াইলের আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিন পেলেন বাংলাদেশ প্রতিদিন’র সম্পাদক নঈম নিজাম।
নড়াইল সদরের আমলি আদালতে রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাজিরা দিলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
জামিনের পর এক প্রতিক্রিয়ায় নঈম নিজাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘একটি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছে। আমি আদালতের প্রতি সম্মান জানিয়ে নড়াইল এসে জামিন নিয়েছি। আমি আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। কিন্তু পুলিশ মাত্র চার কার্যদিবসে কি করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করল— এটাই প্রশ্ন। সারা বাংলাদেশের একটি ঘটনা নড়াইলে প্রমাণ হওয়ার বিষয় ছিল না। আমি মনে করি এই ধরনের হয়রানিমূলক মামলা বাংলাদেশের মিডিয়াকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা কোনোভাবেই ঠিক হবে না।’
ঢাকা থেকে নঈম নিজামের সঙ্গে আসেন বৈশাখী টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক অশোক চৌধুরী, এস এ টিভির এ্যাসাইনমেন্ট এডিটর ওয়াহিদ মিল্টন, ঝিনাইদহ-২ আসনের সংসদ সদস্য তাহজিব আলম সিদ্দিকী। এ ছাড়া যশোর প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সম্পাদক তৌহিদুর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক ফখরে আলম, বাংলাদেশ প্রতিদিনের খুলনা ব্যুরো প্রধান শামসুজ্জামান শাহীনসহ খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও ফরিদপুর থেকে বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা তার সঙ্গে ছিলেন।
নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এনামুল কবীর টুকু জানান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম একটি মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে নড়াইলে পৌঁছানোর পর সকাল ১০টায় নড়াইল প্রেসক্লাবে আসেন এবং গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। বেলা ১১টার দিকে সাংবাদিকদের বহর আদালত চত্বরে পৌঁছায়। এ সময় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
নঈম নিজামের আইনজীবী এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম খান জানান, আসামি স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হয়েছেন। হাজির হওয়ার পর বিজ্ঞ আদালত আসামিকে ২০ হাজার টাকার বন্ডে জামিন দিয়েছেন। মামলার পরবর্তী দিন ধার্য হয়েছে ২৬ অক্টোবর। তবে অপর আসামি মোস্তফা জামাল উদ্দিন হাজিরা দেননি।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১৮ মে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার দশম পৃষ্ঠায় ‘ফোরামের দাপটে অস্থির ক্রীড়াঙ্গন’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই ঘটনায় বাংলাদেশ ভলিবল ফেডাশেনের সাধারণ সম্পাদক ও নড়াইল জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু বাদী হয়ে ১০ কোটি টাকার মানহানির অভিযোগ এনে ওই বছরের (২০১২) ৩ জুন নড়াইল সদর আমলি আদালতে পত্রিকার সম্পাদক এবং তৎকালীন প্রকাশক মোস্তফা জামাল উদ্দীনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশের ওপর তদন্তের নির্দেশ দেন এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাবিব আসামিদের বিরুদ্ধে ১৬/১২/১২ তারিখে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালত ২০১৪ সালের ২ এপ্রিল আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন। কিন্তু আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।