বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউল বসরের সান্নিধ্যে কিছু স্মৃতি

0

জুবায়ের সিদ্দিকীঃ চট্টগ্রামে একাত্তরের মু্ক্তিযুদ্ধের সময় নগরীর আইসফ্যাক্টরী রোড পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সাথে দিনে দুপুরে সম্মুখ সমরের যুদ্ধে আহত হয়েছিলেন তৎকালীন মহানগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বশর, শহীদ হন কমার্স কলেছজের ছাত্র রফিক।

সম্মুখ সমরের যুদ্ধের পর আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখলাম শহীদ রফিকের লাশ ঘিরে গণ প্রস্রাব করছে কতিপয় বিহারী ছাত্ররা। বিহারী ছাত্রদের এ বর্বর দৃশ্য দেখে উপস্থিত বাঙালিরা অনেকেই সহ্য করতে পারছিলেন না।আমি সে দৃশ্য দেখে অনেকক্ষণ কেঁদে স্থান ত্যাগ করেছিলাম। ১৯৭২-৭৩ সালেও বশর ভাই ছাত্রলীগের একজন অকুতোভয় দুঃসাহসিক কর্মী ছিলেন। আমিও তখন ৭২ এর ছাত্রলীগ কমিটির নগরের সহ-সম্পাদক।

খুব কাছ থেকে একজন কর্মী হিসেবে বশর ভাইরে সান্নিধ্য পেয়েছি। গত ২৯ জুলাই দিবাগত রাত তিনি বারডেম হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। আগামীকাল বুধবার কুমিল্লার দাউদ কান্দিতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁকে দাফন করা হবে। শহীদ মৌলভী সৈয়দ, শহীদ রফিক, আবু সাইদ সরদার, অমল মিত্র ও শফিউল বশর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন গেরিলা বাহিনীতে ছিলেন খুবই সক্রিয়। নগরীতে কারফিউ ভেদ করে গ্রেনেড চার্জ করে পাঞ্জাবী সেনাদের তটস্থ করে তুলতেন এই গেরিলা বাহিনী।

ছদ্ধবেশে কখনো ফকির, কখনো ফেরিওয়ালা, কখনো রিক্সা চালক হয়ে নগরীতে রেকি করে রাত্রে অপারেশনে নামতেন এ মুক্তিযোদ্ধা গ্রুপ। জাতির এ শ্রেষ্ঠ সন্তানদের আত্মত্যাগ কোনদিন আমরা শোধ করতে পারবো না। চট্টগ্রাম মহানগরীকে শত্রুমুক্ত করতে তাদের জীবন বাজী রাাখা অবদান চট্টগ্রামবাসী কোনদিন ভূলবে না। বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম শফিউল বশরের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। দুঃসাহসিক এইসব যোদ্দারা আমাদের অহংকার। চলে গেলেন বশরভাই। রেখে গেলেন অনেক স্মৃতি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.