চট্টগ্রাম পাসপোর্ট অফিসে রোহিঙ্গা ঠেকাতে কঠোর নজরদারী
জুবায়ের সিদ্দিকীঃ চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসাের্ট ও ভিসা অফিস নগরীর মনছুরাবাদে অবস্থিত। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত শত শত মানুষ পাসপোর্ট করতে ও নবায়নের জন্য দীর্ঘ লাইন দিয়ে সেবা গ্রহন করছেন। অত্যন্ত সুশৃংখলভাবে পাসপোর্ট অফিসে সেবা গ্রহীতারা সেবা গ্রহন করছেন।
তবে প্রশাসনের কঠোর নজরদারীকে উপেক্ষা করে রোহিঙ্গা নারীরা দালালদের মাধ্যমে পাসপোর্ট করার চেষ্টা করছে। কঠোর নজরদারীতে এই পাসপোর্ট অফিসে গোয়েন্দা সংস্থা ছাড়াও সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীরা রোহিঙ্গা ঠেকাতে আন্তরিকভাবে কাজ করছেন। দালালমুক্ত করেছেন বর্তমান পরিচালক আবু সাঈদ।
গত ২২ জুলাই তিনি এই পদে চট্টগ্রামে যোগদান করেছেন। আগেও একবার এই দফতরে কাজ করে যাওয়ার সুবাধে খুবই দক্ষতার সাথে তিনি পাসপোর্ট অফিসের প্রশাসনকে সুশৃংখল ও রোহিঙ্গা ঠেকাতে আঙ্গুলের ছাপ নেওয়ার প্রথা চালু করেছেন। পরিচালক আবু সাঈদ কাজে যোগদানের পর রোহিঙ্গা একজন ও একজন সহযোগীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। প্রা
য় ২ঘন্টা অবস্থানকালে দেখা গেছে, কাউন্টারে কোন মহিলা বা পুরুষকে সন্দেহ হলেই সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিকে পরিচালকের কাছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হচ্ছে। সাদা পোষাকে গোয়েন্দাদের তৎপরতা থাকায় এই পাসপোর্ট অফিসে রোহিঙ্গারা কোন সুবিধা আদায় করতে পারছে না।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক আবু সাঈদ জানান, পাসপোর্টের জন্য আমরা আঙ্গুলের ছাপ নিচ্ছি এবং রোহিঙ্গারা যাতে কোনভাবেই জালিয়াতি করে পাসপোর্ট করতে না পারে সে জন্য কঠোর নজরদারীতে রাখা হয়েছে। আইনশৃংখলা বাহিনী এব্যাপারে সহযোগীতা করছেন। ই-পাসপোর্টের ব্যাপারে পরিচালক বলেছেন, শীঘ্রই চালু হবে দশ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট।