সেন্ট প্ল্যাসিডস স্কুল অ্যান্ড কলেজে কারিতাসের মাদকবিরোধী ক্যাম্পেইন
সিটি নিউজ,চট্টগ্রাম : বর্তমানে মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৭০ ভাগেরও বেশি কৌতুহলের বশে নিয়ে থাকে। এছাড়াও খারাপ সঙ্গ ও হতাশা মাদক নেওয়ার অন্যতম কারণ। মাদকের ভয়াবহতা সমাজকে বিশেষ করে তরুণ সমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ের মাধ্যমেই কেবল মাদক নির্মূল সম্ভব। পাশাপাশি একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে সুস্থ করতে পরিবারের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দেশের উন্নয়নের পথে অন্যতম প্রধান অন্তরায় মাদকের অবাধ বিস্তার। এটা কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সমস্যা নয় এটা জাতীয় সমস্যা। এখনই সময় একযোগে মাদক প্রতিরোধে কাজ করার।
কারিতাস চট্টগ্রাম অঞ্চলের অধীন স্মাইল প্রকল্প বাকলিয়া ড্রপ ইন সেন্টারের উদ্যোগে মাদকের ক্ষতিকর দিকে সচেতনতামূলক স্কুলভিত্তিক মাদকবিরোধী রচনা, বিতর্ক ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা পরবর্তী পুরস্কার বিতরণী সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
মাদকমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেকে সামনে রেখে ১৪ নভেম্বর সেন্ট প্ল্যাসিডস স্কুল এন্ড কলেজ মিলনায়তনে আয়োজিত এ কর্মশালা সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ব্রাদার সুব্রতলিও রোজারিও। প্রধান অতিথি ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোহাম্মদ শামিম আহমেদ , বিশেষ অতিথি ছিলেন সুপ্রভাত বাংলাদেশের সহ-সম্পাদক কাঞ্চন মহাজন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীসহ প্রায় ২৫০ জন উপস্থিত ছিলেন। শুরুতে মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক নাটক উপস্থাপন করে সেন্ট প্লাসিডস স্কুল এন্ড কলেজের সাংস্কৃতিক দল।
এতে উপস্থি ছিলেন সেন্ট স্কলাটিকাস বালিকা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সি.রেণু পালমা, সিএন্ডবি কলোনী আদর্শ উ”চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মুজিবুর রহমান, চরচাক্তাই সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মানিক চন্দ্র বৈদ্য, ইউসেপ চর চাক্তাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুর রহিম, দক্ষিণ-পশ্চিম বাকলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার দাশ, দক্ষিণ- পশ্চিম বাকলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি শফিউল আযম হিরু। বিভিন্ন স্কুলের মাদকবিরোধী রচনা, চিত্রাঙ্কন ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ী ৪১ জন ছাত্রছাত্রীর মাঝে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। সঞ্চালনায় ছিলেন স্মাইল প্রকল্পের জুনিয়র কর্মসূচি কর্মকর্তা দেবব্রত পাল। আরো উপস্থিত ছিলেন বাকলিয়া ডিআইসি ইনচার্জ মো. সাইদুর রহমান (সাঈদ) মাদারবাড়ী ডিআইসি ইনচার্জ মো. আবদুল জলিল। বিজ্ঞপ্তি।