অভিনয়ে ফিরতে চাই পূর্ণিমা

0

বিনোদন ডেস্ক : ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পূর্নিমা এবারের ঈদে থাকছেন টিভি পর্দায়। সিনেমায় অভিনয় করছেন না অনেক দিন। তবে টিভি পর্দায় পূর্ণিমার একাধিক পুরনো সিনেমা প্রচার হবে। ঈদের দুটি নাটকে অভিনয় করেছেন পূর্ণিমা। এগুলো হল তুহিন হোসেনের পরিচালনায় ‘প্রেম অথবা দুঃস্বপ্নের রাত দিন’। এতে প্রথমবার মোশাররফ করিম, ইরেশ যাকের ও পূর্ণিমা একসঙ্গে অভিনয় করেছেন। অন্যটি হল আরিফ খানের পরিচালনায় ‘আমার বেলা যে যায়’। এতে পূর্ণিমার সহশিল্পী মাহফুজ আহমেদ।

প্রথমবার মোশাররফ করিমের সঙ্গে অভিনয় করা প্রসঙ্গে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার বিজয়ী অভিনেত্রী পূর্ণিমা বলেন, “এবারের ঈদের দুটি নাটকে অভিনয় বেশ উপভোগ করেছি। মোশাররফ করিমের সঙ্গে প্রথম অভিনয় করেছি। কিন্তু ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর পর মনেই হয় নি যে প্রথম অভিনয় করছি। সেটের সবাই বেশ সহযোগিতা করেছেন। ইরেশ যাকের, মোশাররফ করিম দুজনই খুবই গুণী অভিনয় শিল্পী। তাছাড়া নাটকটির গল্পেও বৈচিত্র্য আছে। সব মিলিয়ে এবারের ঈদে দর্শকের ভালো লাগবে ‘প্রেম অথবা দুঃস্বপ্নের রাত দিন।”

পূর্ণিমা আরো বলেন, “বদরুল আনাম সৌদের লেখা ‘আমার বেলা যে যায়’ নাটকটিও সবার ভালো লাগবে। এটাতে আমার সহশিল্পী হিসেবে আছেন মাহফুজ আহমেদ। তার অভিনয় ক্ষমতা প্রসঙ্গে তো নতুন করে কিছু বলার নাই। দর্শক টিভি পর্দায় দেখবেন। আমি চেষ্টা করি একটু বেছে কাজ করতে। এবারের দুটি নাটকই দর্শকের গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করবে বলে মনে করি।”

বিয়ের পর চট্টগ্রামে বসবাস শুরু করলেও এখন স্থায়ীভাবে ঢাকাতেই থাকছেন মিষ্টি নায়িকা পূর্ণিমা। তিনি বলেন, ‘পারিবারিক কারণে সেভাবে কাজ করতে পারছি না। সামনে আরো কিছু নাটকে অভিনয়ের কথা চলছে। এছাড়া চলচ্চিত্রের ব্যাপারেও আলোচনা হচ্ছে।’

ঢাকাই চলচ্চিত্রে পূর্ণিমার অভিষেক হয় ১৯৯৮ সালে জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘এ জীবন তোমার আমার’-এর মাধ্যমে। এর আগে ‘শত্রু ঘায়েল’ নামের একটি সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবেও কাজ করেন তিনি।

এরপর বিজ্ঞাপনচিত্র, টিভি নাটক এবং চলচ্চিত্রে দাপটের সঙ্গে কাজ করেছেন এক যুগেরও বেশী সময়। পূর্ণিমা অভিনীত উল্লেখ্যযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘মাটির ঠিকানা’, ‘প্রেমের নাম বেদনা’, ‘মনের মাঝে তুমি’, ‘হৃদয়ের কথা’, ‘ছোট্ট একটু ভালোবাসা’, ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’, ‘সুলতান’, ‘শাস্তি’, ‘সুভা’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘পিতামাতার আমানত’, ‘সাথী তুমি কার’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘মায়ের জন্য পাগল’ প্রভৃতি।

কাজী হায়াত পরিচালিত ‘ওরা আমাকে ভালো হতে দিল না’ ছবির জন্য ২০১০ সালে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। মোস্তফা কামাল রাজের ছায়াছবি চলচ্চিত্রে সর্বশেষ অভিনয় করেন পূর্ণিমা।

২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী ফাহাদ জামিলের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এ গুণী অভিনেত্রী। চলচ্চিত্রের ব্যস্ততাও কমিয়ে ফেলেন। সবার প্রত্যাশা অচিরেই রূপালী পর্দায় ফিরবেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে পূর্ণিমা খোলাসা করে বলেন, ‘আমার মেয়েটা একটু বড় হলেই সিনেমায় ফিরব। ও এখনো বেশ ছোট, এক বছর বয়স। ওকে সময় দিতে হয়। বেশ কয়েকজন নির্মাতা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাদেরকে এই কথাই বলেছি। আমি আসলে প্রস্তুতি নিয়েই ছবিতে অভিনয় করতে চাই।’

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.