চার বছর আগের দ্বিতীয় বিয়ের কথা জানালেন মম
বিনোদন জগতঃ রূপালী পর্দা বা মিনি পর্দার তারকাদের জীবন ও তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অনুসরণ করেন তাদের অনুসারী বা ফ্যানরা। কিন্তু কিছু কিছু সিনে পর্দার নায়ক নায়িকারা জীবনের রং বদল করেন হরহামেশাই। সিনেমা নাটকে তারা প্রতিদিন বিয়ের অভিনয় করেন, প্রেমের অভিনয় করেন। আবার সাংসারের যাবতীয় দুঃখ দুর্দশার কাহিনীও চলচ্চিত্র বা নাটকের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলেন। কতো ঝড় ঝঞ্জাটের পর সরসারকে আগলে রাখার জন্য মরণ পণ যুদ্ধ করেন। কিন্তু বাস্তাব জীবনে তারা ভিন্ন।
নাটকের মতোই তারা বাস্তব জীবনের রং বদলান। বাস্তব জীবনেও তারা অনেকের সাথে প্রেম ভালোবাসার খেলা খেলেন। স্বামী সংসার, সন্তান থাকার পরও নতুন বা পুরাতনের প্রতি আকৃষ্ট হন।এমন ঘটনা নিত্য নৈমিত্তিক ঘটছে। আর দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এগুলো শিখছে। ফলে সমাজে তরুণ প্রজন্মের কাছে দেখা দিয়েছে অরাজকতা।
জাকিয়া বারি মম। লাক্স চ্যানেল আইয়ের মাধ্যমে যার রূপালী জগতে পদার্পন।স্বামী সংসার একমাত্র ছেলেকে তার সংসার। কিন্তু ভেঙ্গে গেল। এ ধরনের ঘটনা ভূরি ভূরি।কথাগুলো বললেন এক নির্মাতা। এই মম দীর্ঘদিন ধরে নির্মাতা শিহাব শাহীনের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন ছিল অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম’র। তবে কখনো এ ব্যাপারে গণমাধ্যমে সরাসরি কোন মন্তব্য করেননি নির্মাতা-অভিনেত্রী এই জুটি।
আজ (২০ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শিহাব শাহীন ও মম দু’জন দু’জনকে ৪ বছরের বিবাহ বার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে নির্মাতা শিহাব শাহীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ২০১৫ সালের আজকের দিনে আমরা পারিবারিক ভাবে বিয়ে করেছি। তার আগে বেশ কয়েকবছর প্রেম করেছি।
এত দিন কেন বিয়ের ব্যাপারটা গোপন ছিল এমন প্রশ্নে এই নির্মাতা জানিয়েছেন, আমাদের বিয়ের আগেই গণমাধ্যমে আমাদের প্রেম আর বিয়ের খবর প্রকাশ হয়েছিল তাই ব্যাপারটা জানানো হয়নি। তবে আমাদের দুই পরিবার জানতেন ব্যাপারটা।
এর আগে মম ২০১০ সালের ৩১শে মার্চ এজাজ মুন্নাকে প্রথম বিয়ে করেন। ২০১১ সালের ২ মার্চ তাদের একমাত্র ছেলে উদ্ভাস জন্মগ্রহণ করে।
জাকিয়া বারী মম ২০০৬ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় প্রথম হন। এরপর তৌকির আহমেদ পরিচালিত দারুচিনি দ্বীপ চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন।
নির্মাতা শিহাব শাহীন ও অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মমর প্রেম শোবিজের পুরোনো চর্চিত বিষয়। তাদের বিয়ের খবরও বহুবার গুঞ্জন হিসেবে পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু কখনই বিয়ের কথা স্বীকার করেননি তারা। তবে মিডিয়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং একই বাসায় তাদের বসবাস করার খবরও চাউর হয়। তবুও বিয়ে বা সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন শিহাব-মম।
সহকর্মীরা ভালোবাসামাখা শুভেচ্ছাও জানাচ্ছেন শিহাব-মম দম্পতিকে। মম তার ফেসবুকে শিহাবের সঙ্গে কেক কাটার ছবি দিয়ে ক্যাপশন লিখেছেন, ‘তোমাকে অনেক ধন্যবাদ আমাকে এত ভালোবাসা দেয়ার জন্য’। অন্যদিকে শিহাব তার ফেসবুকের ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘চতুর্থ বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জাকিয়া বারী মম’।
বিয়ে প্রসঙ্গে শিহাব শাহীন গণমাধ্যমে আরো জানান, ‘আমরা পারিবারিকভাবেই বিয়ে করেছি। তার আগে বেশ কয়েকবছর প্রেম ছিল। নিজেদের জানা শোনা ও বন্ধুত্ব থেকেই আমরা এক হয়েছি। সবার কাছে দোয়া চাই আমাদের সুখী দাম্পত্যজীবনের জন্য।’