বাঁশখালী মেয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত, কাউন্সিলরদের অনাস্থা

0

বাঁশখালী প্রতিনিধিঃ বাঁশখালী পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে চার কাউন্সিলের দায়ের করা ১২টি অভিযোগের মধ্যে ৬টির তদন্তে সত্যতা পেয়েছে স্থানীয় সরকার চট্টগ্রাম উপ-পরিচালক ইয়াসমিন পারভীন তিবরীজি।

গতকাল রবিবার (২৪ নভেম্বর) আর এ সত্যতার রিপোর্ট নিয়ে ১০টি প্রস্তাবসহ ৮ জন কাউন্সিলর বাশঁখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করেছেন । বাঁশখালী পৌরসভার চার কাউন্সিলর স্থানীয় সরকার চট্টগ্রাম-এর বরাবরে পৌর মেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১২টি অভিযোগ দাখিল করেন।

তারই ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার চট্টগ্রাম উপ-পরিচালক ইয়াসমিন পারভীন তিবরীজি গত ২২ অক্টোবর পৌর কার্যালয়ে অভিযোগের শুনানী করলেও পৌর মেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী অসুস্থতার কারণে অনুপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে মেয়রের কাছ থেকে গত ৭ নভেম্বর বক্তব্য নেয়া হয়। মেয়রের বক্তব্য পরবর্তী তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করার জন্য ৭ দিন সময় দেয়া হয়।

এ সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা প্রদান না করায় গত ১৮ নভেম্বর স্থানীয় সরকার চট্টগ্রাম ০৫.৪২. ১৫০০. ৭০১. ০৪. ০৮০.১৯-৬৫২ স্মারক মূলে এক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন এবং তাতে ৬টি অভিযোগের সত্যতা মিলে বলে উল্লেখ করা হয়।

তদন্তে যে সব অভিযোগের সত্যতা মিলেছে সেগুলোর মধ্যে হলো পৌরসভার সামনে বরাদ্দকৃত দোকানসমূহ নিয়মনীতি না মেনে তৈরি করা এবং ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার রশিদ দেখাতে না পারা, মিয়ার বাজার ইজারা দেয়ার টাকা আদায় না করা, পৌরসভায় গ্যাসলাইনের অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা গ্রহণ করা, পৌরসভার বৈদ্যুতিক মালামাল কোটেশনে ৩০ লক্ষ টাকা দেখানো হলেও রেজি: বহিতে ১২ লক্ষ টাকার মালামাল বাকি টাকার যথাযথ হিসাব নেই এবং প্রতি গজ ২৮ টাকার তারের দাম ১২০ টাকা দেখানো হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে, পৌরসভার মেকানিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রিক্যাল পদে নিয়োগের জন্য প্রসূন দাশ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে এ তদন্ত প্রতিবেদন গতকাল হাতে পাওয়ার পর ১০টি অভিযোগসহ অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করা হয় পৌর মেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তারের দপ্তরে।

অভিযোগকারী কাউন্সিলররা হলেন দিলীপ চক্রবর্তী, মো. দেলোয়ার হোসেন, নজরুল কবির সিকদার, বাবলা কুমার দাশ, তপন কান্তি বড়ুয়া, রুজিনা আক্তার, আবদুর রহমান ও নার্গিস আক্তার সহ ৮জন কাউন্সিলর।

অভিযোগ ও অনাস্থা প্রস্তাবের ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, ‘আমার দপ্তরে ৮ কাউন্সিলর স্বাক্ষরিত একটা আবেদন জমা দিয়েছে। আমি জেলায় মিটিংয়ে থাকায় তা নিজে গ্রহণ করতে পারিনি তবে অবগত হয়েছি।’

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.