অনশন করবো তবুও ‘ঘাট’ ছাড়বো নাঃ পৌঢ় মুক্তিযোদ্ধা মান্নান

0

সিটি নিউজঃ বঙ্গবন্ধু কন্যার শাসনামলে সাম্পান মাঝিরা বৈঠা হারাবে তার কিছুতেই মেনে নেয়া হবেনা বলে সংশ্লিষ্ট সবাইকে হুশিয়ার করলেন সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তারা।

বংশ পরম্পরায় জন্মগত পাটনিজীবি (সাম্পান মাঝি) থেকে ঘাট কেড়ে নিয়ে ব্যবসায়িদের ইজারা দেয়ার অপচেষ্টার প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন।

আজ সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে ১৯৭১এ মুক্তিযুদ্ধে অপারেশন জ্যাকপট চট্টগ্রাম বন্দরে অংশ নেয়া ৮২ বছর বয়স্ক মুক্তিযোদ্ধা সাম্পান মাঝি আবদুল মান্নান বলেছেন, আমি সাম্পান মাঝি হিসাবে ১৯৪৭ দেখেছি, ১৯৫২ দেখেছি, ১৯৭১ এর আগষ্ট মাসে নৌ কমান্ডার এ ডব্লিউ চৌধুরী বীর বিক্রমের নেতৃত্বে ১৫ আগষ্ট চট্টগ্রাম বন্দর জ্যাকপট অপারেশনে অংশ গ্রহন করে যুদ্ধ করেছি। স্বাধীনতার পূর্বে সাম্পান মাঝিদের রক্ষা করতে বাংলাবাজার সাম্পান ঘাট সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলাম। বঙ্গবন্ধু কন্যার শাসনামলে এই ঘাট ব্যবসায়ীর বূর্জোয়রা দখল করে নিবে তা কিছুতেই মেনে নেবনা। প্রয়োজন অনশনে বসবো।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী বলেছেন, কর্ণফুলী দেশের অর্থনৈতিক সঞ্চালক, কর্ণফুলীর অলংকার সাম্পান ও সাম্পান মাঝি। সাম্পান মাঝিদের বৈঠা কেড়ে নেয়ার এতো সাহস কার। আমরা অলংকারহীন কর্ণফুলী কিছুতেই হতে দেবোনা। চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ এই দুরভিসন্ধি প্রতিহত করবে।

চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আলীউর রহমান বলেছেন, সারা পৃথিবীতে সাম্পানকে চট্টগ্রামের অহংকারের প্রতীক হিসাবে জানে। আমাদের এই ঐতিহ্য বিলুপ্ত করার নীল নকশাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের প্রতিহত করতে হবে।

কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যান সমিতি ফেডারেশন সভাপতি এস এম পেয়ার আলীর সভাপতিত্বে অন্যন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রবীন সাম্পান মাঝি মোহাম্মদ হোসেন লিডার, ইছানগর বাংলাবাজার সাম্পান মাঝি সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ লোকমান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফ, চরপাথরঘাটা ব্রিজঘাট সাম্পান চালক সমিতির সভাপতি জাফর আহমদ, সহ সভাপতি জিন্নাত আলী, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হোসেন আবুল, ১১ নং মাতব্বর ঘাট সাম্পান সমিতির সভাপতি আবদুর শুক্কর,সাধারণ সম্পাদক এয়াসিন হাসনাত, ১২ নম্বর ঘাটের সভাপতি মোহাম্মদ ইদ্রিচ, ১৪ নম্বর ঘাটের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান ৯ নম্বও পতেঙ্গা ঘাটের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোহেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যান সমিতি ফেডারেশন সভাপতি এস এম পেয়ার আলী বলেন, বৈঠা যার ঘাট তার এই দাবী না মানা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন করবো। প্রতিটি ঘাটের সকল সাম্পান মাঝিদের নিয়ে গঠিত সমিতির অনুকূলে ঘাট ইজারা দিতে হবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.