সিটিনিউজবিডি : জেলার হাতীবান্ধায় ধান শুকানো চাতালে প্রবেশের অপরাধে দুই কিশোরকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে এক মাদ্রাসাশিক্ষকের বিরুদ্ধে।
বুধবার বিকেলে উপজেলার টংভাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর জখম কিশোরদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
তারা হল— উপজেলার টংভাঙ্গা গ্রামের আসাদুজ্জামানের ছেলে হামিম (৯)। সে হাতীবান্ধা ২নং মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। একই গ্রামের আছিমুদ্দিনের ছেলে মোস্তাকিন (১৪)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে হাতীবান্ধা হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, শিশু দুটির পিঠসহ গোটা শরীরে অসংখ্য নির্যাতনের চিহ্ন। প্রচণ্ড ব্যথায় ছটফট করছে হামিম ও মোস্তাকিন।
এ ব্যাপারে মোস্তাকিন বলেন, ‘আমি ওই চাতালের পাশে পুকুর পাড়ে বসে ছিলাম। আর হামিম চাতালে একাই খেলছিল। হঠাৎ সেখানে চাতালের মালিক খিজির এসে আমাদের পেটাতে থাকেন।’
এ ব্যাপারে মাদ্রাসাশিক্ষক খিজির আহম্মেদ বলেন, ‘ওই বাচ্চা দুটি আমার চাতালে ঢুকে জুয়া খেলছিল। তাই তাদের শাসন করেছি মাত্র। এই কারণে জুয়াড়িরা তার ওপর হামলা করে ১ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে।’
ছোট বাচ্চারা জুয়া খেলতে পারে— এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর মেলেনি কিশোর পেটানো ওই মাদ্রাসাশিক্ষক ও চাতাল মালিকের কাছে।
হামিমের বাবা আসাদুজ্জামান বলেন, ‘খিজির আহম্মেদ আমার শিশু সন্তানকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে। এখন আবার উল্টো মিথ্যে অভিযোগ তুলে আমাদের নামে থানায় অভিযোগ করেছে বলে শুনেছি।’
তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে থানায় মামলায় প্রস্তুতি চলছে।
একই কথা বলেন অপর আহত শিশু মোস্তাকিনের বাবা আছিমুদ্দিন।
এ ব্যাপারে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত জাকির হোসেন বলেন, ‘খিজির আহম্মেদ নামের এক ব্যক্তি থানায় অভিযোগ করায় ঘটনা তদন্তে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’
তবে আহত দুই কিশোরের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।