একজন দুজনের জন্য রাজনীতি যখন প্রশ্নবিদ্ধ

0

জুবায়ের সিদ্দিকী :   সারাদেশে হাতেগোনা কয়েকজন এমপির জন্য গোটা রাজনীতিই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। এসব এমপির অসদাচরনের জন্য বিব্রতকর অবস্তায় পড়েছেন সংসদ নেতা, প্রধানমন্ত্রিসহ অন্যান্য এমপিরা। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের একজন এমপি মাতাল হয়ে গুলি করলেন এক প্রাইমারী শিক্ষার্থী শিশুকে। কক্সবাজারের একজনের হাতে এ পর্যন্ত সরকারী কর্মকর্তা সহ নানা পেশার ২০ জন মার খেয়েছেন।

ময়মনসিংহে একজনের নির্দেশে এক কলেজ শিক্ষককে দিগম্বর করে রাস্তায় ঘোরানো হয়েছিল। বরগুনার একজনের নির্দেশে একটি সালিশে এক গৃহবধুর মাথায় বিষ্ঠা ঢেলে দেওয়া হয়। বরগুনায় আরেকজন পানি উন্নায়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে মারধর করেছেন। নাবাবগঞ্জের একজন এক সরকারী চিকিৎসককে ক্ষমতা কি জিনিস শিখিয়ে দিয়েছেন। এই একজনরা কেউ নন, তারা সবাই অাইনপ্রনেতা। জনগনের প্রতিনিধি। মহান জাতীয় সংসদের সদস্য । (এমপি) রাষ্টের নীতিনির্ধারক।

বিশেষ করে এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের গুলিতে সৌরভ নামে এক শিশু গুলিবিদ্ধ হাওয়ার ঘটনায় দেশব্যপী নিন্দার ঝড় ওঠার সাথে সাথে এমপিদের জন্য আচরণবিধি তৈরির বিষয়ে দাবী উঠেছে সর্বমহলে। সংসদীয় কমিটির সুপরিশ আকারে পাশের জন্য জমা হওয়া সংসদ সদস্য আচরন আইন নামে ফাইলবন্দি হয়ে থাকা সেই বিলটি সংসদে পাশের প্রয়োজনীয়তা উপলব্দি করছেন সংশিষ্টরা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, কথায় কথায় চড়-থাপ্পড় মারা যেন এমপিদের কারো কারো অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। এটা বন্ধ করতেই আচরনবিধি সংবলিত এই আইনটি খুব জুরুরী ছিল। এই আইন পাশ হলে এমপিরা যা ইচ্ছা তাই করতে পারতেননা। একারনে আইনটি প্রনয়ন এখন সময়ের দাবীহয়ে উঠেছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.