মহেশখালিতে রশি টানাটানির রাজনীতির মাঠে অস্তিত্বহীন বিএনপি!

0

জামাল জাহেদ, কক্সবাজার: কক্সবাজার জেলার মহেশখালি উপজেলায় দুগ্রুপের রশি টানাটানির রাজনীতিতে মাঠে অস্থিত্বহীন বিএনপি,চলমান টানা হরতাল ও অবরোধে ঢাকা সহ সারাদেশের রাজনীতির মাঠ টানটান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করলেও মহেশখালি রাজনীতির মাঠে সাবেক সংসদ সদস্য আলমগীর মুহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ গ্রুপ অনেকটা মাঠে থাকলে ও কেন্দ্রিয় যুগ্নমহাসচিব ও সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সালা উদ্দিন গ্রুপের সাবেক উপজেলা চেয়ারমম্যান আবু বক্কর গ্রুপ মাঠে চরম বেকায়দায় ফলে অস্তিত্বহীন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সালা উদ্দিন সমর্থিত বিএনপি।

মহেশখালি উপজেলা ছাএদলের সভাপতি দাবি পএিকায় নানা খবর ছাপায় আজিজুল করিম জয়,অপরদিকে একই পদের সভাপতি বলে মিছিল করে ব্যানার লিখে সাবেক এমপি ভাইপো নাহিদ,যেনো কঠিন কোন প্রতিপক্ষ অথচ একই দলে সাপে নেউলে।অন্যদিকে মহেশখালি উপজেলা সাঃ সম্পাদক ও দুজন এডঃ সিরাজুল ইসলাম,ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু বক্কর ছিদ্দিক। একদল দাবি করে মহেশখালি তে সাবেক এমপির বিএনপি চলবে আরেকদল দাবি করে সালা উদ্দিনের বিএনপি চলবে,এনিয়ে দুগ্রুপে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দেয় নানা সময়।

বিগত ৫ জানুয়ারির পর থেকেই বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে নানা কর্মসুচি দিয়ে প্রতিবাদ করে মাঠ সক্রিয় ছিলো সাবেক সংসদ সদস্য আলমগীর ফরিদ,অন্য পক্ষ সরকারের নানা ভয়ে মহেশখালি উপজেলার রাজনীতির মাঠে দেখা যাচ্ছেনা এখনো।ঢাকা থেকে বিবৃতির মাধ্যমে হরতাল-অবরোধের ডাক দেওয়া হলেও সেসব অবরোধ হরতালের সমর্থনে কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেখা যাচ্ছে না সালা উদ্দিন সমর্থিত গ্রুপের বিএনপির নেতা-কর্মীদের।এ ছাড়া, আত্মগোপনে বা নিষ্ক্রিয় রয়েছেন মহেশখালি উপজেলার একাধিক সিনিয়র নেতা।

এমনকি চট্রগ্রাম দক্ষিণ বিএনপির নীতিনির্ধারক খ্যাত দলের যুগ্ন মহাসচিব,সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সালা উদ্দিন আত্তগোপন ছিলো বিধায় অনেকে মনে করেন তাতে কক্সবাজার জেলার একাধিক নেতা নিজেকে গুটিয়ে নেয়,সাথে মহেশখালি উপজেলার তৃনমুল নেতারা কোনঠাসা,কার পাশে মাঠি আছে বুঝতে পারছেনা,বিএনপি মহা সচিব গ্রুপের উপজেলা সভাপতি এডভোকেট আবু তালেব দাবি করেন মহেশখালির সাবেক সংসদ সদস্য আলমগীর ফরিদ কেন্দ্র কতৃক দল থেকে বহিষ্কৃত নেতা,বিএনপি চেয়ারপার্সন ম্যাডাম খালেদা জিয়া তাকে শৃঙখলা ভঙগের কারনে বহিস্কার করেন বলে জানান মহেশখালি উপজেলা সাধারন সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিক।

উপজেলা যুবদলের সভাপতি মোকসুদুল আলম জানান, নেতারা সবাই নিজেদের গা বাঁচিয়ে পালিয়ে রয়েছেন। সঠিক নেতৃত্ব ও নির্দেশনা না থাকায় এবং পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে সাধারণ কর্মীরা মাঠে নেই।তাই তারা নিষ্ক্রিয় ভারত থেকে যুগ্নমহাসচিব আসলে নতুন জেলা উপজেলা কমিটি করবে বলে জানান সে।তবে মহেশখালীর কয়েকজন সিনিয়র নেতা জানান, কৌশলগত কারণে নেতারা আত্মগোপনে থেকে দলের মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের দিকনির্দেশনা প্রদান করছেন।পৌর কমিটির সাঃ সম্পাদক সাবেক কমিশনার নুরুল ইসলাম নুরু দাবি করেন, সাবেক এমপি আলমগীর ফরিদ বহিষ্কৃত নয়,রাজনীতিক কৌট কৌশলের স্বীকার।আর তিনি আরো জানান,সালা উদ্দিন চাইলে আহবায়ক কমিটি দিতে পূর্নাঙ্গ কমিটি দিতে পারেনা,সম্মেলন ও কাউন্সিল ছাড়া নতুন গজিয়ে ওঠা কমিটিকে তিনি মনগড়া কমিটি আখ্যা দেন। এদিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা মাঠে না থাকায় মহেশখালীর সর্বত্রই মাঠ দখল করে নিয়েছে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ,শ্রমিকলীগ,স্বেচ্চাসেবকলীগ,কৃষকলীগ,মুজিব ঐক্যলীগ। প্রতিদিন আওয়ামী লীগ হরতাল, নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসবিরুদী মিছিল মিটিং জনসভা করলেও নিষ্ক্রিয় উপজেলা বিএনপি।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামীম আরা স্বপ্না জানান, ৫ জানুয়ারির পর থেকে গণহারে গ্রেফতার শুরু হওয়ায় কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় অনেকেই আত্মগোপন করেছেন। তবে কেন্দ্রের নির্দেশ পেয়েছে কিন্তু কমিটিতে পারতেছে তৃণমুল নেতাদের সাপোর্ট পাচ্ছেনা।সাবেক মহেশখালি কুতুবদিয়ার এমপি,কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ জানান,,কৌশলগত কারণে বিএনপির নেতা-কর্মীরা এই মুহূর্তে মাঠে নামছেন না। এ ছাড়া মামলা-হামলায় বিএনপির প্রতিটি নেতা-কর্মীকে জর্জরিত করেছে সরকার।মামলা হামলা ও গ্রেফতার এড়াতে নেতারা মাঠে নেই। তবে সব নেতা কেন্দ্রের সাথে যে যার মতো যোগাযোগ রাখছে। কেন্দ্র থেকে দলকে আরো শক্তিশালী করার নির্দেশনা দিলেও ৭০টি জেলার বর্তমান কমিটি কেন্দ্রের নির্দেশ ও মানছেনা বলে জানায় সে,তবে সময় মতো সরকারবিরোধী তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে বলে জানান।অন্যদিকে দল থেকে থাকে বহিষ্কার করার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন,কে কাকে বহিষ্কার করে সময় মতো জনগণ দেখবে,যারা মাঠে থাকেনা তারা কিসের বিএনপি উল্টো করেন তিনি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.