খুরুশকুলে মাটি ভরাট কাজে ব্যাপক দূর্নীতির অভিযোগ

0

জামাল জাহেদ, কক্সবাজারঃ মানবসেবাই ধর্ম, আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার এই শ্লোগানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয় থেকে পরিচালিত গৃহিত নান্দনিক পদক্ষেপ সারাদেশের মতো কক্সবাজারের খুরুশকুলে ভূমিহীনদের জন্য আশ্রয়ন-২ প্রকল্পে মাটি ভরাট কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ মিলেছে এবং বাস্তবায়ন কমিটির সাথে সদর এমপির অন্তরদ্বন্ধ কঠিন রুপ নিতে শুরু করেছে,সদর এমপির রোষানলে খুরুশকুল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের অনেকে,খুরুশকুল ইউনিয়নের একাধিক সূত্রথেকে প্রাপ্ত খবরে এসব অভিযোগ তোলা হয়েছে।

অভিযোগে জানা যায়,সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের ১৫০টি ভূমিহীন পরিবারের ১০টি ব্লক নির্মাণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অনুদান দেয়া হয় এবং এ প্রকল্পের নাম দেয় আশ্রয়ন প্রকল্প২।সর্বমোট পুরা মাটি ভরাট সহ কাজটা সম্পুর্ন করার বাজেট স্বরুপ প্রধানমন্ত্রী কার্যলয় বাজেট রাখেন, ৫০০০মেট্রিক টন কাবিখা এবং টিআর বাবদ চাউল ও গম বরাদ্দ দেয়।

আশ্রয়ন প্রকল্পে এক হাজার ৮শ’ ফুট দৈর্ঘ্য, ৭৫ ফুট প্রস্থ ও ৭ফুট উচ্চতায় মাটি ভরাটের কাজ শুরু করার শর্তে সরকার বাস্তবায়ন কমিটিকে নির্দেশ দেয়,ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার আব্দু রহিমকে সভাপতি করে।এসব কাজের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকদের দৈনিক ৭ ঘন্টা কাজের বিনিময়ে ৮ কেজি করে গম দেয়ার কথা থাকলেও মাটি কাটার কাজ চলছে এক্সাভেটর মেশিন আধুনিক ড্রেজার,যাতে নিশ্চিন্ন হয় কাবিখা ও টিআর শ্রমিক নিয়োগ।খুরুশকুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাষ্টার আব্দু রহিমকে এ কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়।

নদীর বহুল গ্রামের ১শ গজের বাহিরে আশ্রয়ণ করার নিয়ম থাকলেও কক্সবাজারের সব প্রকল্পের কাজ নদী গর্ভে বলা যায়,প্রকল্পের কাজটি যেন পলিমাটি দিয়ে ভরাট করা হয় কিন্তু সেটি না করে ওই প্রকল্প সংলগ্ন বাকখালী নদীর মোহনা থেকে বালি মিশ্রিত মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে যা সম্পুর্ন অনিয়ম।বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য শাহজাহান বলেন, সরকার ওই প্রকল্পে মাটি ভরাট কাজের জন্য ৭০০ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ এ পর্যন্ত দিয়েছে,তবে কাজটা তারচেয়ে বেশি টাকার করেছে বাস্তবায়ন কমিটি।খুরুশকুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাষ্টার আব্দু রহিমও সদর উপজেলার পিআইও,সদর থানা নির্বাহী অফিসার, পিডি জহুরুল হক সকলে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ চেষ্টা করতেছে,কিন্তু বার বার সদর এমপি নানা হুমকি ও কাজে বাধা প্রদান করতেছে,এমনকি বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য শাহজাহান বলেন,সদর এমপির রোষানলে পড়েছে পুরা প্রকল্পের কাজটা,হয়তো সম্ভব হবেনা কাজটা করার।

সরকার পদক্ষেপ না নিলে,যদিও বিগত আগষ্ট মাসের ৭তারিখ প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয়ের মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ সহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ৯জন সচিব ঘুরে দেখেন প্রকল্পের কাজ। বিশ্বস্ত বেশ কয়েক’টি সূত্র বলেন, প্রকল্পের কাজটি যখন শুরু করার জন্য দেড় বছর আগে সরকার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিশেষ বরাদ্দ দিয়ে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর অধীনে কক্সবাজার খুরুশকুল ইউনিয়নে জায়গা নির্বাচন করে, তখন কৌশলে সদর এমপি প্রথমে সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী সদস্য তালেব,মাবু,মাবুদকে দিয়ে কমিটি দিয়ে কাজ শুরু করে সবার অজান্তে এমপির নির্দেশে ৭৬লাখ টাকায় চাদপুর থেকে ১টি ড্রেজার এনে কাজ শুরু করে নিজের উদ্যেগে,পরে অবস্থা বেগতিক থেকে ২য় বার আবারো কমিটি করে দেয়ে শামসু নামক একজনকে দিয়ে,পরে একটা ড্রেজারে কাজ হচ্ছেনা দেখে কাজ বন্ধ রাখে এমপি ৩মাস,এমপির কথা সঠিক সময়ে পালন না করাতে মুজিব ও জসিমকে দল থেকে বের করে দিয়েছে মর্মে সত্যতা নিশ্চিত করেন চেয়ারম্যান মাষ্টার আব্দু রহিম,অনেকে মিথ্যা মামলার হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।

অন্যদিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দপ্তর থেকে চাপ আসে ডিসি অফিস কতৃক সদর থানা নির্বাহী অফিসার সহ উপজেলা পিআইও এবং বাস্তবায়ন কমিটির উপর তখন অফিস চাপ দেয় ইউপি চেয়ারম্যানকে যেহেতু বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি সে,যদিও কাজে কোন দুর্নীতি হয় তিনি দোষবেন,পরে চেয়ারম্যানের কমিটি ৩টা ড্রেজার দেয়, কিন্তু সদর এমপি বলে কাজ হবেনা তার মতে কাজ করতে হবে।এমপি নির্দেশ দেয় ৭৬ লাখ টাকার ড্রেজার দিয়ে কাজ করতে হবে,যত টাকা দামে সে ড্রেজারের সাথে চুক্তি করেছে।টোপ দেয় উপজেলা সাঃ সম্পাদক মাবু ও তালেব কাজ করবে চেয়ারম্যান করতে পারবেনা,এমনকি এমপি পিএস উখিয়ার রোস্তম নামে যুবকের সহায়তায় মাবু ও মাবুদ ৭শত টন গম থেকে এলাখ ৭০হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রকল্প থেকে।

প্রতি টন গম ও চাউল থেকে ৫০০টাকা নেয় অফিস,ইতিমধ্যে ১০৭মেট্রিক টন চাউল ১২৫মেট্রিকটন গম বাবদে ৪২লাখ টাকা সরকার প্রকল্পের কাজে বরাদ্দ দিয়েছে,মুলত কতো টাকার কাজ হয়েছে তার হিসাবে বা কোন সমাধান নেই,স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয় কতৃক পরিচালিত প্রকল্পের কাজে যদি এতো অনিয়ম হয় তাহলে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন জাগে কি পরিমান দেশে দুর্নীতি হয় তার হিসাব কে জানে।এমপি বার বার নির্দেশ দেয় বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যদের পিএসের সাথে সমাধা করতে আর সরকার হিসাব চায় নির্দিষ্ট সময়ে চেয়ারম্যানদের কাজ বুঝে দিতে??কোন দিকে যাবে বাস্তবায়ন কমিটি,সরকার না সরকারের এমপির নির্দেশ মানবে।বড় গ্যাঁড়াকলে বর্তমান পরিস্থিতিতে খুরুশকুল ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার আব্দু রহিম যিনি প্রকল্পের সভাপতি।এ ব্যাপারে খুরুশকুল চেয়ারম্যানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,গতকাল বিষয়টি সমাধান হয়েছে ডিসি কতৃক,এখন যথারীতি কাজ চলবে,আর কোন দ্বন্ধ নেই এমপির সাথে। সদর এমপি মহোদয়ের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও ফোন রিসিভ না করাতে কোন বক্তব্য নেওয়া হয়নি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.