প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

0

সিটিনিউজবিডি : ঠাকুর থাকবে কতক্ষণ, ঠাকুর যাবে বিসর্জন। ঢাক ও কাঁসির বাজনার সঙ্গে সঙ্গে শারদীয় দুর্গা উপলক্ষে প্রতিমা বিসর্জনের সিঁদুর উৎসবে মেতেছিল ১১ বছরের স্কুলছাত্র কুন্তল রায়। সন্ধ্যায় বড়দের সঙ্গে কপোতাক্ষ নদে প্রতিমা বিসর্জনে গিয়েছিল। প্রতিমার নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে তার। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ঘোষনগর-কানাইদিয়া খেয়াঘাট এলাকায়।

মৃতের নাম কুন্তল রায়। সে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের কানাইদিয়া গ্রামের মুদি ব্যবসায়ি মিহির রায়ের ছেলে ও রথখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র।

মিহির রায় জানান, তার দু’ছেলে। কানাইদিয়া পশ্চিমপাড়া সার্বজনীন দুর্গা মণ্ডপের প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য শুক্রবার বিকেল থেকে মণ্ডপের সামনে সিঁন্দুর উৎসবের আয়োজন করা হয়। এ সময় মা দুর্গার বিদায়ের বাজনায় বিষাদ হয়ে ওঠে মন। কিন্তু অন্য শিশুদের মতো ঢাক ও কাঁসির তালে তালে মেতে ওঠে কুন্তল। একপর্যায়ে কপোতাক্ষ নদের ঘোষনগর-কানাইদিয়া খেয়াঘাটে প্রতিমা বিসর্জনের সময় প্রতিমার নিচে পড়ে নিখোঁজ হয় সে।

সাতক্ষীরার তালা-কলারোয়া আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট মুস্তাফা লুৎফুল্লাহ জানান, প্রতিমার নিচে চাপা পড়ে কুন্তল নিখোঁজ হয়েছে এমন খবর পাওয়ার পর সাতক্ষীরা থেকে ফায়ার ব্রিগেডের একটি টিম উদ্ধার কাজে নেমে পড়ে। রাত ১১টার দিকে খুলনা থেকে আসা একটি ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ডুবুরি দল কানাইদিয়া- ঘোষনগর খেয়াঘাট এলাকা থেকে কুন্তলের লাশ উদ্ধার করে।

কানাইদিয়া পশ্চিমপাড়া দুর্গাপূজা পরিচালনা কমিটির সভাপতি উত্তম কুমার হালদার জানান, এটা মর্মান্তিক। অসচেতনতাবশত এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে।

তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর শুক্রবার রাতেই তার স্বজনদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। বিষয়টি বেদনাদায়ক ও কারো কোনো আপত্তি না থাকায় লাশের ময়নাতদন্ত হচ্ছে না। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় মৃত কুন্তলের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.