স্পোর্টস ডেস্ক : এবারের ওয়ালটন জাতীয় ক্রিকেট লিগে দলের প্রয়োজনে হাল ধরলেও নিজের ইনিংসকে বড় করতে পারছিলেন না নাঈম ইসলাম। প্রথম চার রাউন্ডে একটিও পঞ্চাশোর্ধ রানের ইনিংস খেলতে পারেননি রংপুর বিভাগের এই ব্যাটসম্যান।
নাঈমের চারটি ইনিংস থেমে গিয়েছিল ৩৮ থেকে ৪৬ রানের মধ্যে। তবে পঞ্চম রাউন্ডে এসে শুধু পঞ্চাশোর্ধ ইনিংসই নয়, সেটাকে সেঞ্চুরিতে রূপান্তর করেছেন বর্তমানে জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
বগুড়ার শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়ামে জাতীয় লিগের প্রথম স্তরের ম্যাচে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে রোববার দ্বিতীয় দিনে সেঞ্চুরি করেছেন নাঈম। প্রথম দিনেই সেঞ্চুরির অপেক্ষায় ছিলেন তিনি, অপরাজিত ছিলেন ৯০ রানে। আগের দিনে তার সঙ্গে ৬৩ রানে অপরাজিত থাকা নাসির হোসেন দ্বিতীয় দিনে আর কোনো রান না করেই বিদায় নেন।
নাসির বিদায় নিলেও সেঞ্চুরি তুলে নিতে কোনো ভুল করেননি নাঈম। ৯৬ রান থেকে দেওয়ান সাব্বিরের বলে চার মেরে তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগার স্পর্শ করেন এই ডানহাতি। অবশ্য সাব্বিরের পরের বলেই বিদায় নেন তিনি।
৩৯৪ মিনিট ক্রিজে থেকে ২৯৯ বলে ১২টি চারের সাহায্যে ঠিক ১০০ রান করেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৭তম সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া নাঈম। এই সেঞ্চুরির মাধ্যমে নিজেকে আরেক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন গাইবান্ধার এই ক্রিকেটার।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ডে এখন দ্বিতীয় স্থানে নাঈম, অবশ্য যৌথভাবে। এক সময় জাতীয় দলে খেলা রাজিন সালেহর সেঞ্চুরির সংখ্যাও ১৭টি। যদিও রাজিনের ১৭টি সেঞ্চুরি করতে লেগেছিল ১২৪ ম্যাচ। সেখানে নাঈমের লেগেছে ৯৫ ম্যাচ।
আর ১৮টি করে সেঞ্চুরি নিয়ে যৌথভাবে শীর্ষে আছেন মোহাম্মদ আশরাফুল ও তুষার ইমরান। ১৬টি সেঞ্চুরি আছে মেহরাব হোসেন জুনিয়রের।