উখিয়ার এক শিক্ষক দুর্নীতি মামলার আসামী

0

শহিদুল ইসলাম, উখিয়া :কক্সবাজারের উখিয়ায় এক প্রাথমিক শিক্ষকের নানা প্রকার দূর্ণীতির সাথে জড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষক দূর্ণীতি দমন কমিশন কর্তৃক দায়েরকৃত মামলার আসামী বটে। সেই কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মনখালী গ্রামের মৃত ছাবের আহাম্মদের ছেলে আবদুল মালেক। আবদুল মালেক হরিণমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করেন। সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষকতার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সরকার বিরোধী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।

দেশের শীর্ষ স্থানীয় জাতীয়, দৈনিক পত্রিকায় ২০১০ সালে ৩০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ১১ মাসে দুদুকের ৪৪৪ অভিযোগ পত্র, অধিকাংশের বিচার কাজ শুরু হয়নি এ ধরনের একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। জানা যায়, উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মনখালী গ্রামের মৃত ছাবের আহাম্মদের ২য় পুত্র আবদুল মালেক। শিক্ষকতার আগে বি-বাড়িয়া এলাকায় ব্র্যাক আরডিপির কর্মসূচি সংগঠক ছিল।

সেখানে দায়িত্বপালন কালে নানা ধরনের অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। ভূঁয়া ঋন বিতরণ দেখিয়ে ৯৭ হাজার ৮ শত ৫০ টাকা আত্মসাৎ করেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ওই প্রতারকের বিরুদ্ধে দূর্ণীতি দমন কমিশন বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে বি-বাড়িয়া থানা পুলিশ প্রতারক আবদুল মালেককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যান। জামিনে এসে শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করেন।

এছাড়াও আবদুল আজিজ নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ২য় আদালতেও একটি প্রতারণা ও জালিয়াতি মামলা করেন শিক্ষক আবদুল মালেকের বিরুদ্ধে। সিআর মামলা নং- ৩৩৩/২০১১ইং। শিক্ষক মালেক ৩ নং আসামী। আবদুল মালেকের বিরুদ্ধে ব্যাপক তথ্য অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছেন একদল গণমাধ্যমকর্মী। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তাদের নিজস্ব ঠিকানা ব্যবহার করে চাকুরীতে যোগদান করেন। কিন্তু আবদুল মালেকের ক্ষেত্রে বিপরীত।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটুক্তি করার মামলায় মালেকের ছোট ভাই জেল কেটেছেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক আবদুল মালেক বলেন এ ধরনের কোন ঘটনার সঙ্গে জড়িত নাই। উখিয়া প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ শামিম ভূঁইয়া বলেন, অভিযোগ পাওয়া মাত্র তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কক্সবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবিএম সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এ পর্যন্ত আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.