পুএ খুনের বিচার পাচ্ছেনা অসহায় পিতা, খুনীরা প্রকাশ্যে

0

জামাল জাহেদ, কক্সবাজার: কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার গর্জনিয়ার আলোচিত ডাবল মার্ডারের খুনীরা প্রকাশ্যে,নানা মৃত্যু হুমকিতে বিপন্ন হতভাগা পিতার আকুতি, খুনের নেপথ্য নায়ক ফেরদৌস আলী প্রকাশ ফিরোজ মেম্বার লোকসমাবেশে,সহযোগী নিষ্ঠুর খুনীরা দীর্ঘদিনেও ধরা পড়েছেনা বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

এদিকে খুনীদের অব্যাহত হুমকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে নিহত পরিবারের অসহায় পিতা আব্দুল মাবুদ ও সদস্যরা। খুনীরা প্রকাশ্যে রামুর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার না করায় তারা আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, বিগত ১০ই আগষ্ট ২০১৪সালে,আনুমানিক ১১ঘটিকার সময় অস্ত্রের মুখে মোঃ ইলিয়াছ এবং আব্দু রহিমকে ধরে নিয়ে পাহাড়ী গোপন জায়গায় নিয়ে গলাকেটে নির্মমভাবে হত্যা করে,নিহতদের শরীরের অংশ বিশেষ টুকরা করে পেলে পালিয়ে যায় ফেরদৌস আলীর গ্যাংয়েরা।এ ঘটনায় পরবর্তীতে নিহতের বাবা আব্দুল মাবুদ বাদি হয়ে রামু থানায় মামলা করেন যার জিআর মামলা নং ২৬২/১৪ইং।

বর্তমানে যাহা পুলিশের বিশেষ ইনভেশটিগেশন সঃস্থা সিআইডি কক্সবাজার শাখায় তদন্তধীন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও মামলার আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় নিহতের পরিবারের সদস্যরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এদিকে প্রশাসনের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে আসামীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে।আরো উল্লেখ্য যে,মামলার আলোচিত প্রধান আসামী ফেরদৌস আলী প্রঃ ফিরোজ মেম্বার একজন চিন্হিত মানবপাচারকারীর গডফাদার,অপরাধ জগতের কিং,রামু গর্জনিয়ার আতংক,পাহাড়ী জনপদ ঈদগড় সড়ক ডাকাতির মহানায়ক, অপহরন নামক অপরাধ জগতের তালিকাভুক্ত শীর্ষ খলনায়ক,একই সাথে খুনী,কুখ্যাত সন্ত্রাসী,মাস্তান,জুলুমবাজ,জবরদখলকারী।

প্রচলিত আইন কানুন কিছুই মানেনা সে, রামুর সন্ত্রাসী কাজকর্মে সরকারের তালিকাভুক্ত অপরাধী সে।এবং ডাবল মার্ডার হত্যাকান্ডের মুল পরিকল্পনাকারী ও অর্থসহয়তাকারী সে।তার সাথে অন্যতম সহযোগী হিসাবে খুনের সাথে জড়িত আআসামীরা হলেন,আব্দুল খালেক পিতা হাকিম আলী,জাগের হোসেন পিতা মৃত আব্দু শুক্কুর,আলমগীর পিতা আমির হোসেন,ইমান আলী পিতা মোঃ নবী,জাগির হোসেন পিতা মোজাহের মিয়া,আমানুল হক পিতা আবুল হোসেন,আব্দু শুক্কুর পিতা আবুল হোসেন,রবিউল আলম পিতা বাদশা,মজিদ পিতা জাকের হোসেন। কিন্তু বার বার সে প্রশাসনের আইন ব্যাবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে জেলার কতিপয় দুর্বল প্রশাসনের কারনে।ঈদগড় সহ পাহাড়ি জনমানুষের শান্তিপুর্ন পরিবেশ তাদের জন্য হুমকির মুখে,প্রকাশ্যে এখনো কি করে একের পর অন্যায় অপকর্ম অপহরন করে যাচ্ছে তা আজ জনগনের প্রশ্ন।পুলিশ তাদের গ্রেফতার না করে উল্টো শেল্টার দিচ্ছে বলে নিহতদের পরিবারের একাধিক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি জাহাঙ্গীর আলম জানান,ডাবল হত্যা মামালায় আসামিদের মধ্যে দুজনকে সে গ্রেফতার করে কোর্টে পাটিয়েছে, বাকিদের ধরার জন্য পুলিশ বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করে আসছে। অপরাধী কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। তবে থানা থেকে ঘটনাস্থল ছনুয়ার দূরত্ব অনেক বেশি ও যাতায়াত ব্যবস্থা তেমন ভাল নয়। অল্প কিছুদিনের মধ্যে এ মামালার চার্জশিট দেয়া হবে বলেও তিনি জানান।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.