অস্ট্রেলিয়ার পরেই বাংলাদেশ

0

স্পোর্টস ডেস্ক : ২০১৫ নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল বছর। বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা; এর পর পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো বিশ্বসেরা দলকে হারানো। ঘরের মাঠে টানা পাঁচটি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ, এর মধ্যে এ বছরই চারটি। পরিসংখ্যানেও এর প্রতিফলন। এ বছর জয়ের শতাংশের দিক দিয়ে ওয়ানডে খেলা ১৪টি দলের মধ্যে বাংলাদেশের ওপরে আছে কেবল একটিই দল—বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া!

অস্ট্রেলিয়া এ বছর ১৯টি ওয়ানডের ১৫টিই জিতেছে, হেরেছে তিনটি। এ বছর অস্ট্রেলিয়ার জয়ের হার ৭৯ শতাংশ। ১৭ ম্যাচের ১২টি জিতেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের জয়ের হার ৭১ শতাংশ। ৭০ শতাংশের ওপর জয়ের হার আর কোনো দলেরই নেই। এমনকি বিশ্বকাপ রানার্স আপ নিউজিল্যান্ডেরও নয়। ২০টিরও কম ম্যাচ খেলে দশটির বেশি জয়ও নেই আর কোনো দলের।

জয়ের দিক দিয়ে বাংলাদেশের পরে আছে নিউজিল্যান্ড। ২৯ ম্যাচের ১৯টি জেতা কিউইদের জয়ের হার ৬৬ শতাংশ। ২৪ ম্যাচে ১৫ জয় নিয়ে এর পরে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা (৬২ শতাংশ)। জয়ের হারের দিক দিয়ে সেরা পাঁচে এশিয়ার একটি দলই আছে—ভারত। ২৩ ম্যাচে ১৩ জয় (৫৭ শতাংশ)। ২২ ম্যাচে ১১ জয় শ্রীলঙ্কার (৫০ শতাংশ)। ২৩ ম্যাচে ১১ জয় পাকিস্তানের (৪৮ শতাংশ)। এ বছর আর কোনো দল দশটির বেশি ম্যাচ জেতেনি। এমনকি না-জেতা এই দলগুলোর মধ্যে আছে ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়েও।

ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিং যে ইংল্যান্ডের ছয় নম্বর জায়গাটিতে চোখ বাংলাদেশের, তারা কিন্তু এ বছর আয়ারল্যান্ডের চেয়ের পেছনে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরেই বিদায় নেওয়া ইংলিশরা এ বছর ২২ ম্যাচের মাত্র নয়টিতে জিতেছে (৪১ শতাংশ)। ১৫ ম্যাচের মাত্র চারটি জিতেছে প্রথম দুই বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এ বছর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮টি ওয়ানডে খেলা জিম্বাবুয়ে ম্যাচ জিতেছে মাত্র সাতটি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.