বাংলাদেশ-ভারত উপকূলীয় জাহাজ চলাচল চুক্তি স্বাক্ষর

0

অর্থবাণিজ্য ডেস্ক :: বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে নৌপথে ব্যবসা-বাণিজ্যে কমবে খরচ ও সময়। এ লক্ষ্যে ‘উপকূলীয় জাহাজ চলাচল চুক্তি’ কার্যকর করতে গতকাল রোববার স্টান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) সই করেছে দুই দেশ।

এ চুক্তি বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশে নৌপথে পণ্য পরিবহনের জন্য আগের মতো সিঙ্গাপুর বন্দর ব্যবহার করতে হবে না । এতে কমবে খরচ ও সময়।

ভারতের জাহাজ, পরিবহন ও হাইওয়ে মন্ত্রী নীতিন গাটকরীর উপস্থিতিতে ভারতের জাহাজ চলাচল মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম মহাপরিচালক অমিতাব কুমার ও বাংলাদেশের নৌপরিবহন অধিদপ্তরের চীফ ইঞ্জিনিয়ার ও জাহাজ নিরীক্ষক চুক্তিতে সই করেন।

বাংলাদেশের নৌ সচিব সফিক আলম মেহেদি ও ভারতের জাহাজ চলাচল সচিব রাজীব কুমারও এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এসওপি স্বাক্ষরকালে উভয় দেশ আশা প্রকাশ করে, এই এসওপি সইয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে নৌপথে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা করবে। পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে যেমন খরচ কমে যাবে তেমনি সময়ও উল্লেখ্যযোগ্য ভাবে কমে যাবে। ফলে উভয় দেশই লাভবান হবে।

ভারতের জাহাজ মন্ত্রী নিতেন গাটকরি আজকের দিনটিকে একটি ঐতিহাসিক দিন বলে মন্ত্যব্য করে বলেন, এর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ এবং ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসার হবে। উভয় দেশের অর্থনৈতিক উন্নতিতে দারুন সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

তিনি বলেন, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল করা শুরু হলে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে পণ্য পরিবহন অনেক সহজ হবে তেমনি স্থল বন্দরগুলোর চাপ কমে যাবে। বাংলাদেশে নৌপথে পণ্য পরিবহনের জন্যে সিঙ্গাপুর হয়ে যেতে হতো, এখন তার প্রয়োজন হবে না ।

তিনি বলেন, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল করা শুরু ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে পণ্য পরিবহন অনেক সহজ হবে তেমনি স্থল বন্দরগুলোর চাপ কমে যাবে। বাংলাদেশে নৌপথে পণ্য পরিবহনের জন্যে সিঙ্গাপুর হয়ে যেতে হতো, এখন তার প্রয়োজন হবে না ।

নৌ পরিবহন সচিব সফিক আলম মেহেদি বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যে এসওপি সই হলো তা ছিলো সময়ের চাহিদা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদীর আগ্রহের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব আমলাতান্ত্রিক বাধাকে উপেক্ষা করে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই আমরা এটি সই করতে পেরেছি।

সূত্র: বাসস

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.