কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুণ্ড:: যোগাচার্য পরমহংস শ্রীমৎ স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজের ১০৭ তম আবির্ভাব উৎসবের ৬ষ্ঠ দিনে সীতাকুণ্ড শংকর মঠ ও মিশনে অনাথ ও দুস্থদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ, মাতৃসম্মেলন ও মহতী ধর্মসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত শনিবার দুপুর দেড়টায় শংকর মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী তপনানন্দ গিরির সভাপতিত্বে প্রথম পর্বের অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি ছিলেন গৃহায়ন ও গনপূর্ত মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন। শ্রীমৎ স্বামী সজলানন্দ গিরির সঞ্চালনায় সভায় উদ্ভোধক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি জিতেন্দ্র প্রসাদ নাথ মন্টু। সম্মানিত অথিতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড সংসদ আলহাজ্ব দিদারুল। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সীতাকু- সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.মাহবুব আলম,পৌর মেয়র নায়েক (অবঃ) শফিউল আলম,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লা আল বাঁকের ভূইয়া, লায়ন সন্তোষ নন্দী,চেয়ারম্যান রেহান উদ্দিন রেহান,শওকত আলী জাহাঙ্গীর,কাউন্সিলর শফিউল আলম মুরাদ,প্রফেসর কেশব কুমার চৌধুরী।
আলোচনা সভা শেষে সভায় উপস্থিত প্রধান অতিথিসহ সকল অতিথি মাধ্যমে ১০০জন অনাথ ও দুস্থ নারী-পুরুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন,“প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রনীতি অনুসরনের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির এ দেশে যুদ্ধপরাধী, নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের কোন স্থান নেই। আজকালের মধ্যে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত দু’যুদ্ধপরাধীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হবে। এছাড়াও অচিরেই অভিযুক্ত অপরাপর যুদ্ধপরাধীদের বিচার স্মপূর্ণ করা হবে।”
অপরদিকে বিকাল ৪ টায় শংকর মঠ ও মিশন অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজের পৌরহিত্যে মাতৃসম্মেলন ও মহতী ধর্মসভার দ্বিতীয় পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন। শ্রীমৎ স্বামী সজলানন্দ গিরির পরিচালনায় উদ্ভোধক ছিলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব লিভারেল আর্টস ট্রেজারার ড.মিলন কুমার ভট্টাচার্য। বিশেষ অতিথি ছিলেন,স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া চট্টগ্রামের প্রধান নির্বাহী অফিসার শ্রী দেবাশীষ নন্দী,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন আচার্য প্রফেসর ড.আনিসুজ্জামান,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.নাজমুল ইসলঅম ভূইয়া,পৌর মেয়র নায়েক (অবঃ) শফিউল আলম,কাউন্সিলর হারাধন চৌধুরী বাবু,শংকর মঠ ও মিশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সমীর পাল,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা তাপসী ঘোষ রায়,অধ্যক্ষ বিজয় লক্ষী দেবী,অধ্যাপক মৃণালিনী চক্রবর্তী,অধ্যাপক তড়িৎ কুমার ভট্টাচার্য,অঞ্জন কান্তি দাশ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শংকর মঠ ও মিশন মহারাজ শ্রীমৎ স্বামী হরিকৃপানন্দ,শ্রীমৎ স্বামী জগদ্বীশানন্দ,শ্রীমৎ স্বামী তাপসানন্দ,শ্রীমৎ স্বামী বিদেহানন্দসহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মঠ ও মন্দিরের মহাত্মা-মহারাজবৃন্দ।