তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক :: রেড লিফ লেটুসের পর নাসা এবার পরিকল্পনা করছে কীভাবে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারদের দ্বারা পরীক্ষিত ব্যাকটেরিয়া শক্তির উৎস হিসেবে মহাকাশে ব্যবহার করা যায়। আর পরীক্ষাটি সফল হলে ভবিষ্যতে মহাকাশচারীরা প্রয়োজনীয় শক্তির বা খাবারের উৎস হিসেবে এটিকে ব্যবহার করতে পারবেন।
২০১৭ সালে এর পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। এজন্য ব্যবহার করা হবে ‘অ্যানাবেয়েনা’ গোত্রের ব্যাকটেরিয়া। ধারণা করা হচ্ছে এই ব্যাকটেরিয়া ফটোসিনথেসিসের মাধ্যমে যে শর্করা উৎপন্ন করে তা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পরিবর্তিত অন্য ব্যাকটেরিয়াকে ‘পাওয়ার সেল’ নামে একটি বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে খাওয়ানো সম্ভব। দ্বিতীয় স্তরে যে ব্যাকটেরিয়াগুলো তৈরি হবে তার মাধ্যমে কেমিক্যাল, খাবার, জ্বালানি এমনকি ওষুধও উৎপন্ন করা সম্ভব।
বিষয়টি নিয়ে নাসার এমেস রিসার্স সেন্টারের লিন রোথসচাইল্ড বলেন, ‘আমেরিকাতে যিনি প্রথম এসেছিলেন তিনি কিন্তু পরবর্তীতে বেঁচে থাকার জন্য সব খাবার সঙ্গে করে আনেননি। আপনাকে ভূমি থেকে খাবার উৎপন্ন করেই বেঁচে থাকতে হবে।’
জার্মান ভিত্তিক একটি কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে ছয় মাসের গবেষণামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে পরীক্ষাটি পরিচালনা করা হবে। কৃত্রিম উপগ্রহটি তৈরি করা হবে মঙ্গল, চাঁদ এবং মহাশূন্যের মহাকর্ষীয় শক্তি সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। দেখা হবে এ সকল স্থানে অথবা স্পেস স্টেশনের সঙ্গে ব্যাকটেরিয়াটি খাপ খাওয়াতে পারে কিনা।
তথ্যসূত্র: এনগ্যাজেট