কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গা যুবক নিহত

0

শহিদুল ইসলাম, উখিয়া (কক্সবাজার):: কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে এক যুবক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহত হওয়ার পর থেকে পুরো কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের কুতুপালং শরণার্থী শিবির সংলগ্ন আমগাছ তলা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সহকারী পুলিশ সুপার উখিয়া সার্কেল আবদুল মালেক মিয়ার নেতৃত্বে এক দল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তদন্ত শুরু করেন।

এ সময় সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল মালেক মিয়া শীঘ্রই দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন। নিহত যুবক কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের বি ব্লকের ৪২ নং শেডের এম আর সি ৫২৪০১ নং এর বাসিন্দা ও নুরুল আলমের ছেলে নুরুল হাকিম (২৩)। কুতুপালং শরণার্থী শিবির ও ক্যাম্প প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালং পূর্ব পাড়া এলাকার মৃত জাফর আলমের পুত্র নুরুল কবির ভুট্রো ও রেজিঃ ক্যাম্পের ডি ব্লকের মাষ্টার জাকিরের পুত্র আব্দুর রহিম প্রকাশ দালাল রহিম, সম্প্রতি মানব পাচারের বকেয়া টাকা নিয়ে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে দুই পাচারকারী রোহিঙ্গা যুবক নুরুল হাকিমকে ধারালো অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে বেদড়ক মারধর করেন।

পরে রোহিঙ্গা যুবককে হাত পা বেধে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের কুতুপালং আমগাছ তলা এলাকায় বালুখালী থেকে উখিয়া গামী কক্সবাজার ১১-২৩৩১ নাম্বারের একটি সি এনজি গাড়ীর সামনে ফেলে দেয়। এর কিছুক্ষণ পর নুরুল হাকিমের চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করান। কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার নুরুল হাকিমের অবস্থা আশংখাজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

২ ডিসেম্বর বুধবার রাত ২ টার দিকে দীর্ঘ ৪৮ ঘন্টা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কুতুপালং শরণার্থী শিবির সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়। নিহত নুরুল হাকিমের পিতা নুরুল আলম বলেন, প্রভাবশালীরা প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে। কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। পাশাপাশি পুত্র হত্যাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানান। কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের আইসি হত্যাকান্ডের সত্যতা স্বীকার করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে নুরুল কবির ভূট্টো বিগত ২ বছর ধরে মানব পাচার করে কয়েক কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। নিহতের পিতা নুরুল আলম ২ জনকে আসামী করে উখিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, আসামীরা হলেন, আবদুর রহিম ও নুরুল কবির ভুট্টো। উখিয়া থানার তদন্ত ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, আসামীদের ধরতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.