কামরুল ইসলাম দুলুঃ গত রোববার ছিল মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারে শেষ দিন, সীতাকুন্ড পৌরসভা নির্বাচনে মনোয়নন পত্র প্রত্যাহার করেননি আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী প্রার্থী। সীতাকুন্ড পৌরসভা নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, পৌর কমিটির সাবেক সভাপতি সিরাজ-উদ-দৌলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সদস্য ও বর্তমান মেয়র নায়েক (অবঃ) সফিউল আলম শেষ দিনেও তাদের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেননি, দুজনই ইতিমধ্যে দল থেকে পদ ত্যাগ করেছেন।
নায়েক সফিউল আলম বলেন, আমি দীর্ঘ ৫০ বছরের অধিক সময় ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয় ভাবে থেকেছি, কিন্তু আমার মনোনয়ন কেড়ে নেওয়া হয়েছে তাই আমি নাগরিক কমিটির ব্যানাচর নির্বাচন করছি, আমার আশা সুষ্ঠ নির্বাচন হলে আবারো মেয়র নির্বাচিত হবো।
অপর বিদ্রোহী প্রার্থী সিরাজ-উদ-দৌলা বলেন, মেয়র পদে নির্বাচন করার জন্য আমি আওয়ামী লীগের পৌর কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছি, আমি সীতাকুন্ড বাসীর ব্যাপক সমর্থন পেয়েছি তাই মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করিনি, বিদ্রোহী প্রার্থী নায়েক সফিউল আলম (নারকেল গাছ) এবং সিরাজ উদ দৌলা (জগ) প্রতিক পেয়ে প্রচারণা চালাছেন, এদিকে সীতাকুন্ড পৌর নির্বাচনে (স্বতন্ত্র) হিসাবে মেয়র পদে নির্বাচন করছেন জামাযাতে, পৌর আমির তাওহীদুল হক চৌধুরী অনেকেই আশা করেছেন মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিকে হয়ত বিএনপি প্রার্থী আবুল মুনছুর এর সাথে একটা সমঝোতার ভিত্তিতে জামায়াত তাদের প্রার্থীরা প্রত্যাহার করবেন।
এ নিয়ে ছিল ব্যাপক জল্পনা কল্পনা কিন্তু কোন সমঝোতা না পৌাছায় বিএনপি জামায়াত আলাদা ভাবে নির্বাচন করছেন, ছাড় দেয়নি বিএনপিকে জামায়ত যদিও জামায়ত দলীয়ভাবে নির্বাচন করতে পারছেন না। সে হেতু (স্বতন্ত্র) ভাবে ( মোবাইল) প্রতীকে প্রচারনা চালাছেন, এ দিকে সীতাকুন্ড পৌর নির্বাচনে যাচাই বাচাই শেষে ৬ মেয়র প্রার্থী , ৩৮ কাউন্সিলর প্রার্থী ও সংরক্ষিত আসনে ৭ জন কাউন্সিলর প্রর্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দের পর পুরোদমে প্রচারণায় নেমে পড়েছেন প্রার্থীরা, গণসংযোগ আর মিছিলে সরগরম হচ্ছে অলি-গলি।