চন্দনাইশ পৌর বিএনপির ২ নেতা বহিষ্কার

0

চন্দনাইশ প্রতিনিধি: আসন্ন চন্দনাইশ পৌরসভা নির্বাচনে ২০ দলীয় জোট প্রার্থীর কাজ না করা, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় চন্দনাইশ পৌর বিএনপির সভাপতি নুরুল আনোয়ার চৌধুরী ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সওদাগরকে দল থেকে বহিস্কার করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপি।

গত ২১ ডিসেম্বর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান। চন্দনাইশ পৌরসভা বিএনপির সভাপতি নুরুল আনোয়ার চৌধুরী তপশীল ঘোষনার পর থেকে ২০ দলীয় জোট প্রার্থীর পক্ষে কোন রকম প্রচারণা থেকে বিরত থাকেন। একইভাবে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পৌরসভার অধিবাসী সিরাজুল ইসলাম সওদাগরও ২০ দলীয় জোট প্রার্থী মো. আয়ুব কুতুবীর সমর্থনে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা থেকে বিরত ছিলেন।

গত ১১ ডিসেম্বর এলডিপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, প্রাক্তন মন্ত্রী আলহাজ্ব ড. কর্নেল অলি আহমদ বীর বিক্রমের বাড়ীতে ২০ দলীয় জোটের উঠান বৈঠক বসে। এ বৈঠকে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি, প্রাক্তন মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীসহ ২০ দলীয় জোট নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকলেও উপস্থিত হননি পৌর বিএনপির সভাপতি নুরুল আনোয়ার চৌধুরী ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সওদাগর। একইভাবে গত ২০ ডিসেম্বর বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, প্রাক্তন মন্ত্রী মীর মো. নাছির উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদত হোসেন সহ ২০ দলীয় জোটের মহানগরসহ জেলা, উপজেলার নেতৃবৃন্দ আয়ুব কুতুবীর পথসভায় গেলেও উপস্থিত হননি এ দুই নেতা।

ফলে বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটি অবহিত হওয়ার পর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের পাশাপাশি দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে ২০ দলীয় জোট প্রার্থী ‘ছাতা’ প্রতীকের মো. আইয়ুবের নির্বাচনে প্রচারনায় অংশগ্রহণ না করায় এ দুই নেতাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান। এ দুই নেতা বহিস্কারের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও অঙ্গসংগঠনের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠে। ফলে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী মো. আয়ুব আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে শক্ত অবস্থানে দিকে মোড় নিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ।

সব মিলিয়ে গতকাল ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে টক অব দ্যা টাউন ছিল চন্দনাইশ পৌর এলাকায় এ দুই বিএনপি নেতার বহিস্কারাদেশ। এ ব্যাপারে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি, প্রাক্তন মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর সাথে কথা বললে তিনি বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানেন নি বলে জানান। তবে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য তাঁর সাথে জানতে চাইলে তিনি সাংগঠনিকভাবে বিষয়টি জানেন না বলে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সওদাগরের কথা বললে তিনি বিষয়টি জেনেছেন বলে জানান। তবে সাংগঠনিকভাবে তাকে বিষয়টি জানানো হয়নি বলে জানান। তবে তার সাথে দলীয় নেতা-কর্মীরা এ বিষয়ে টেলিফোনে জানতে চাইলে তিনি একইভাবে বিষয়টি শুনেছেন বলে জানান।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.