সিটিনিউজবিডি :: পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে নারীদের যৌন হয়রানিতে জড়িত কাউকে খুঁজে পায়নি পুলিশ।গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) দীপক কুমার দাস চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। আর এতেই কোনো আসামিকে শনাক্ত করতে না পারার বিষয়টি জানা গেছে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতের জেনারেল রেকর্ডিং অফিসার (জিআরও) মাহমুদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।
জিআরও আরো বলেন, ‘এখনো আমার কাছে এ প্রতিবেদন আসেনি। তবে আদালতের ডেসপাচ শাখা ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আমার কাছে আসবে। এর পরই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনের শুনানির তারিখ পড়বে।’
তবে তদন্ত কর্মকর্তা দীপক সংবাদমাধ্যমের কাছে বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্ষবরণে যৌন হয়রানির ঘটনা গোপন ও প্রকাশ্য তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চিহ্নিত আট যৌন নিপীড়ককে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
এতে আরো বলা হয়, ‘মামলার তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে ৮-১০ দুষ্কৃতকারী কতিপয় নারীর শাড়ি ধরে টান দেয়। তদন্তে সাক্ষ্যপ্রমাণ ও ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় মামলার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়।’
চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের উৎসবের মধ্যে সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকে ভিড়ের মধ্যে নারীদের হয়রানি করে একদল যুবক।
প্রথমে পুলিশ ঘটনাটি এড়াতে চাইলেও পরে বিভিন্ন ছাত্র ও নাগরিক সংগঠনের দাবির মুখে এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলা এবং তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এর পর ১৭ মে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ছবি দেখে আট নিপীড়ককে চিহ্নিত করার কথা জানিয়েছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক। তাদের ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা দেন তিনি।
এ ঘটনায় ১৫ এপ্রিল শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ যৌন হয়রানির ঘটনায় মামলাটি দায়ের করেন।