যুবলীগের হামলা: নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী

0

কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুণ্ড:: বর্তমান পৌর মেয়র পৌর নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নায়েক অব: সফিউল আলম সাংবাদিক সম্মেলন করার সময় জয়বাংলার শ্লোগান দিয়ে সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবে হামলা চালায়। এসময় বেশ কয়েকটি ককটেল নিক্ষেপ করে। সন্ত্রাসীরা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে । এসময় আহত হয়েছে ১০ সাংবাদিক।

ভাংচুর করেছে সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের ভবনসহ অবকাঠামো। এসময় তারা ২০ রাউন্ডের বেশী ফাঁকা গুলি করে। ৫টি ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটায়। ক্লাবে আধ ঘন্টা অবরোদ্ধ থাকে সাংবাদিকরা। পুলিশ ঘটনাস্থল এসে সাংবাদিকদের উদ্ধার করে। এসময় প্রেস ক্লাব চত্বর থেকে উদ্ধার করে ২টি ককটেল ও জাহাজের সিগনাল লাইট। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি সভাপতি লায়ন আসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি এস এম আল মামুন।

আহত সাংবাদিকরা হলেন, সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি সৈয়দ ফোরকান আবু, সভাপতি এম হেদায়েত, সদস্য সচিব আর টি ভি প্রতিনিধি সৌমিত্র চক্রবর্তী, দৈনিক আজাদী প্রতিনিধি বিপুল দেব রায়, দৈনিক সমকাল প্রতিনিধি আলহাজ্ব এম সেকান্দর হোসাইন, আমার দেশ প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম, নয়া দিগন্তের প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লা আল কাইয়ুম চৌধুরী, ইত্তেফাক প্রতিনিধি দিদার হোসেন টুটুলসহ ১০ সাংবাদিক ,আহত হন বিদ্রোহী প্রার্থী নিজেই।Sitakund-pressClub-Hamla-pic-3

জানা যায়, রোববার রাত সাড়ে আট টার সময় সীতাকুন্ড প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করতে আসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নায়েক অব. সফি উল আলম। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী বিরুদ্ধে তার প্রচারে হামলা ও গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ করে। সাংবাদিক সম্মেল শেষ হওয়ার পূর্বে সীতাকুণ্ড উপজেলা সুপার মার্কেটে অবস্থিত সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবে আওয়ামী যুবলীগের ৩০/৪০ জন জয়বাংলার শ্লোগান ও ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে আতংক সৃষ্টি করে। এসময় সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত বিদ্রোহী প্রার্থীকে ৫মিনিটের মধ্যে বের করে দিতে বলে। সাংবাদিকরা ক্লাবের দরজা বন্ধ করে দিলে সন্ত্রাসীরা ইট ককটেল নিক্ষেপ করে।

অবরুদ্ধ থাকা অবস্থান থেকে এক ঘন্টা পর পুলিশ এসে সাংবাদিক ও প্রার্থীকে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে আসে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রিটার্নি কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম ভূইয়া, ভ্রাম্যমান ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার ভূমি মাহাবুবুল আলম, সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইফতেখার হাসান।

সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের আহবায়ক এম হেদায়েত বলেন,৩০/৪০ জনের এক দল সন্ত্রাসী প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাংবাদিক সম্মেলনে হামলা চালায়। এসময় তারা ককটেল বিষ্ফোরণ ও ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। এতে প্রার্থীসহ ১০ সাংবাদিক আহত হয়।
রাত ১০টার দিকে প্রেস ক্লাবে পরিদর্শনে আসে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী বদিউল আলম ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লা আল বাকের ভূইয়াসহ নেতৃবৃন্দ।

এদিকে নিজের নিরাপত্তাহীনতার কারণে সংবাদ সম্মেলন করার তিন ঘন্টা পর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী নায়েক অব: সফিউল আলম। তিনি সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক এম হেদায়েতের মোবাইলে ফোন করে সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এ ঘটনায় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরা সুষ্ট নির্বাচনের স্বার্থে হামলাকারীদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারের দাবি করেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.