সিটিনিউজবিডি :: আমরা সবাই মুক্তিযোদ্ধা, আমরা সবাই বাংলাদেশ চেয়েছি। তাহলে এতোদিন পর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক কেন? এসব বিষয়ে বিতর্ক হলে তো আমাদের কোনো অস্তিত্বই থাকলো না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে সম-সাময়িক বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে বির্তকের জবাবেই সংসদের বিরোধী দলীয় নেতার এ মন্তব্য।
রওশন এরশাদ বলেন, সংসদে আমি বলেছি বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কোনো বির্তক হবে না। এরপর কিন্তু এসব নিয়ে বিতর্ক অনেক কমে গেছে, কি যায়নি? এগুলো সেটেল ইস্যু, এসব নিয়ে এখন বিতর্ক কেন?
পৌরসভা নির্বাচন সম্পর্কে বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করছি, মানুষ যেন শান্তিপূর্ণভাবে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে, সেই পরিবেশ বজায় রাখার জন্য। আশা করি শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন হবে।
নির্বাচন কমিশনকে সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে হবে। আশা করি তারা পারবেন, সেই আস্থা আমাদের আছে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেসব সহিংসতা হচ্ছে সেটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এটা নির্বাচনের সময় হয়েই থাকে। নির্বাচনে আমাদের জাতীয় পার্টির কিছু প্রার্থী আছে।
রওশন এরশাদ বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেসব ঘটনা ঘটছে তার বেশির ভাগই আওয়ামী লীগ ও তাদের বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে এবং বিএনপির প্রার্থী ও তাদের বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে। আমাদের কোনো প্রার্থীর কোথাও কোন দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষ নেই।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ নির্বাচন কমিশনকে মেরুদণ্ডহীন বলার জবাবে রওশন এরশাদ বলেন, পার্টি ও পার্টির কর্মীদের চাঙ্গা করতেই উনি এসব কথা বলেছেন, পার্টি চালাতে এটা হলে বলতে হয়। সেটা উনার অভিমত। আমরা মনে করি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।
নির্বাচনে হার, জিত যাই হোক জাতীয় পার্টি নির্বাচনে থাকবে বলে জানান বিরোধী দলীয় নেতা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ, বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, ফখরুল ইমাম, ইয়াহিয়া চৌধুরী প্রমুখ।