সাতকানিয়া প্রতিনিধি :: চট্রগ্রামের সাতকানিয়া পৌরসভা নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের গুলি বিনিময়ে নুরুল আমিন (৪৮) নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।
নিহত নুরুল আমিন পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের আব্দুর রহিমের ছেলে। তার মহেশখালীতে দোকান আছে।
বুধবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে সাতকানিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্রের বাইরে হোস্টেল মাঠে কাউন্সিলর প্রার্থী মোজাম্মেল হক ও মনিরুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
নিহতের চাচাতো ভাই মো. আবুল কালাম বলেন, দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। নুরুল আমিন এর মাঝখানে পড়ে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, কেন্দ্রের ভেতরে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। ভেতরে কোন সমস্যা হচ্ছেনা। তবে বাইরে গুলি বিনিময়ের ঘটনায় একজন মারা গেছে বলে শুনেছি।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নুরুল আমিনের লাশ দেখতে ভিড় জমিয়েছেন পরিবারের সদস্য ও আওয়ামী নেতাকর্মীরা।
এসময় কান্নাজড়িত কন্ঠে নুরুল আমিনের ভাতিজা মো. জাকির হোসেন বলেন, আমার চাচার মহেশখালীতে লেপের দোকান আছে। তিনি ব্যবসা ফেলে সাতকানিয়া এসেছেন শুধুমাত্র জোবায়ের (আওয়ামী সমর্থিত মেয়র প্রার্থী) ভাইয়ের জন্য। জোবায়ের ভাইয়ের সমর্থক হিসেবে তিনি নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা কাজে যোগ দেন। কিন্তু আজ তাকে লাশ হতে হলো।
তিনি বলেন, ‘চাচার তিন ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মেয়েদের কারও এখনো বিয়ে হয়নি। ছেলেমেয়েরা এখনো সবাই ছোট। ওদের কি হবে?’