সীতাকুন্ড প্রেসক্লাবে হামলাকারীদের রক্ষায় ভিন্ন কৌশল!

0

সীতাকুন্ড  সংবাদদাতা  :  সীতাকুন্ড প্রেসক্লাবে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের রক্ষায় ভিন্ন কৌশলে মাঠে নামছে তাদের মদদদাতারা। তারা সাংবাদিকদের ধারাবাহিক লিখনির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনের আয়োজন করেছেন! যা সাংবাদিক সমাজকে হতবাক করলেও এর মধ্যেই আশার আলো খুঁজে পাচ্ছেন তারা। কারণ, এই কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে এতদিন হামলার নেপথ্যে থাকা গড ফাদারদের মুখোশও অবশেষে উন্মোচিত হতে চলেছে। অবশ্য পুলিশ জানিয়েছে এ ধরণের কোন কর্মসূচীর কথা তাদের জানা নেই।
জানা যায়, গত ২৭ ডিসেম্বর সীতাকুন্ড প্রেসক্লাবে এক প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন চলাকালে স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা ২৫/৩০ জন সন্ত্রাসী ককটেল, পিস্তল, দা-কিরিস নিয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এ ঘটনার ৩দিন পর প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের হলেও এখনো পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। এ অবস্থায় সাংবাদিকরা যখন ধারাবাহিকভাবে লেখালেখি, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে মানববন্ধন, চট্টগ্রাম পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়ে আসছে ঠিক তেমনি সময়ে দিশেহারা হয়ে উক্ত সন্ত্রাসীদের মদদদাতারা প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করে চিহ্নিত এই ডাকাতদের বাঁচাতে ভিন্ন কৌশলে মাঠে নামার পরিকল্পনা নিয়েছে। সীতাকুন্ড প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা জানান, তারা জানতে পেরেছেন সন্ত্রাসীদের গড ফাদাররা সাংবাদিক সমাজের এই আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে সন্ত্রাসীদের বাঁচাতে এই আন্দোলনের পেছনেও বিএনপি-জামায়াতের পৃষ্টপোষকতা রয়েছে বলে প্রচার শুরু করেছেন। সীতাকু প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি সৈয়দ ফোরকান আবু বলেন, বিগত দিনে সীতাকুন্ডের সব দলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দই সাংবাদিকদের সহযোগিতা নিয়েছেন। কিন্তু এখন তারা তা ভুলে গেছেন। প্রেসক্লাবে হামলার পর যেখানে আ’লীগ-বিএনপিসহ সব দলের উচিত ছিলো হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে সহযোগিতা করা সেখানে আমরা দেখছি উল্টো চিত্র। সীতাকুন্ডে সবাই জানেন হামলাকারী সন্ত্রাসীরা কার ছত্রছায়ায় বেঁচে আছেন। এতদিন প্রেসক্লাবে হামলার মদদদাতারা নেপথ্যে থেকে হামলাকারীদের রক্ষায় কাজ করে গেলেও এবার প্রকাশ্যেই তারা মাঠে নামছেন সাংবাদিকদের কলম বন্ধ করে সন্ত্রাসীদের বাঁচাতে। প্রেসক্লাবের যুগ্ন আহ্বায়ক এম. সেকান্দার হোসাইন বলেন, সন্ত্রাসীদের বাঁচাতে কতিপয় স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি সাংবাদিকদের আন্দোলনের সাথে বিএনপি-জামায়াতের গন্ধ জুঁড়ে দিলেও তা সীতাকুন্ডের কোন পাগলও বিশ্বাস করবে না। এতে বড় কাজ করে ফেলেছে মনে করে তারা নিজেই শুধু মানসিক সুখ পাবে। এছাড়া আর কোন লাভ হবে না। সন্ত্রাসীদের বাঁচাতে এইসব ভূল পথ ছেড়ে তাদেরকে আইনে সোপর্দ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক এম.হেদায়েত বলেন, চট্ট্গ্রাম ও ঢাকার সাংবাদিক সমাজ আমাদেরকে জানেন। এই আন্দোলনে কোন রং রুপ দিয়ে বন্ধ করা যাবে না। সন্ত্রাসীরা গ্রেপ্তার না হলে তাদের গড ফাদারদেরও মুখোশ উন্মোচিত হবে। এদিকে একটি চক্রবর্তী সাংবাদিকদের ধারাবাহিক লিখনির প্রতিবাদে সভা ও মানববন্ধন করার কোন তথ্যই পুলিশ অবগত নয় বলে জানিয়েছেন সীতাকু- থানার ওসি মোঃ ইফতেখার হাসান। তিনি বলেন, আমাদেরকে এ ধরণের কোন কর্মসূচীর কথা কেউ জানায়নি। এসব করে কোন লাভ নেই জানিয়ে ওসি বলেন, প্রেসক্লাবে হামলাকারীরা গ্রেপ্তার হবেই। কেউ তাদের বাঁচাতে পারবে না।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.