আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: ভারতের পাঞ্জাবের পাঠানকোটে বিমান ঘাঁটিতে বন্দুকধারীদের চালানো হামলার পর ঘাঁটিটি নিরাপদ করতে টানা চারদিন ধরে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী। এখন পর্যন্ত ৬ হামলাকারী ও ৭ সেনা সদস্যসহ মোট ১৩ জন নিহত হয়েছে। খবর এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ওই ঘাঁটিটিতে গত শুক্রবার গভীর রাতে হামলা চালায় বন্দুকধারীরা।
নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রবিবার পর্যন্ত ছয় সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়েছে। তবে ষষ্ঠ সন্ত্রাসীর লাশ এখনও উদ্ধার করা যায়নি। হামলার পর গত রবিবার ঘাঁটিটি সম্পূর্ণ খালি করা হয়। সোমবার সেখান থেকে সেনা সদস্যদের লক্ষ্য করে কোনো গুলির শব্দ পাওয়া যায়নি। সেখানে আর কোন সন্ত্রাসী আত্মগোপন করে আছে কিনা তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।
অপরদিকে এ পর্যন্ত সাত সেনা সদস্য নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। ঘাঁটিটিকে সম্পূর্ণ নিরাপদ করতে এখনও অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। মনে করা হচ্ছেতবে ঘাঁটিটিতে এখনও কোনো হামলাকারী আত্মগোপন করে আছে কি না এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিশ্চিত নয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
প্রথমদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এ হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক ইসলামপন্থী সশস্ত্র সংগঠন জয়শ-ই-মোহাম্মদকে দায়ী করা হয়। তবে পরবর্তী সময়ে কাশ্মীরভিত্তিক স্বাধীনতাকামী ইউনাইটেড জিহাদ কাউন্সিল (ইউজেসি) এ হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয়।
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ভারতীয় বিমান ঘাঁটিতে চালানো এই হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
ঘাঁটিটিতে সামরিক পোশাক পরে ও সামরিক যান ব্যবহার করে হামলা চালায় বন্দুকধারীরা।