পেটের ভেতরে করে ইয়াবা পাচার করতে গিয়ে মৃত্যু

0

জসিম উদ্দিন টিপু, টেকনাফ:: টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে পেটের ভেতরে করে (বিশেষভাবে খেয়ে) ইয়াবা পাচার করতে গিয়ে মোশতাক আহমদ নামের ১ব্যাক্তির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ইউনিয়নের পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়া এলাকার কাছার পাড়া গ্রামে ঘটনটি ঘটেছে। সে ঐগ্রামের গবি সুলতান ওরফে লুলা মিয়ার ছেলে। তার পরিবারে ২ছেলে ১মেয়ে সন্তান রয়েছে বলে জানাগেছে।

স্থানীয় ও পরিবার সুত্র জানায়, ৫জানুয়ারী মঙ্গলবার পূর্ব মহেশখালীয়াপাড়া গ্রামের মৃত ছিদ্দিক আহমদের ছেলে বাদশা মিয়া, মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে শামশুল আলম নিহত মোশতাককে প্রলোভনে ফেলে ২হাজার ইয়াবা চট্টগ্রাম শহরে অবস্থানরত একই এলাকার মোঃ হোছন মাইদ্যার ছেলে নুরুর কাছে পৌঁছিয়ে দিতে বলে। পাচারকারী মোশতাক বিশেষ কায়দায় পদ্ধতির মাধ্যমে পেটের ভেতরে করে ইয়াবার চালান নিয়ে ঐদিনই চট্টগ্রামে অবস্থানকারী গডফাদার নুরুর বাসায় পৌছে।

পেটের ভেতরকার ইয়াবা বের করতে গিয়ে পড়ে যায় মহা মুশকিলে। যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে ৬জানুয়ারী সকালে পাচারকারীকে শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ইয়াবা বহনকারী মোশতাকের মৃত্যু হয়। খবরটি এলাকায় পৌঁছলে গ্রামবাসী এবং পরিবারের মাঝে শোকাবহ অবস্থা বিরাজ করে। পরবর্তীতে কোতোয়ালী থানা পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট করে ময়নাতদন্ত ও আনুষ্টানিক প্রক্রিয়া শেষে ঐদিন রাত ৮টার দিকে গ্রামের বাড়ী মহেশখালীয়াপাড়া বাহারুল উলুম মাদরাসা মাঠে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। ঘটনাটি টক অব দ্যা হোয়াইক্যংয়ে পরিণত হয়েছে। বিষয়টি পুরো ইউনিয়নে আলোচনা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

জড়িত ইয়াবা কারবারীরা ইতিমধ্যে ঘটনাটি দামাচাপা দিতে তোড়জোড় শুরু করেছে। মামলা না দিতে মোশতাকের পরিবারকে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করছে। জনপ্রতিনিধি সহ সর্বমহল ইয়াবার প্রকৃত মালিককের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও ইয়াবা কারবারীদের গ্রেপ্তার অভিযান জোরদারের দাবী জানান। মোশতাকের মামা শ্বশুর মাঈন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে প্রপ্রতিবেদককে বলেন, শামসু, বাদশা, নুরু সিন্ডিকেট লোভ দেখিয়ে আমার জামাইকে ইয়াবা বহনে বাধ্য করেছে। এখন তার ছেলে মেয়েদের কে খাওয়াবে? হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির আইসি এসআই মোঃ আরিফুর রহমান জানান, আমি একজন লোকের মৃত্যু হয়েছে এমনটি শুনেছি। কিভাবে হয়েছে সে ব্যাপারে বিস্তারিত এখনো জানি না। তবে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, কেবলই শুনলাম। বিষয়টির ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.