বগুড়া প্রতিনিধি : জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে শ্রমিক লীগের সংঘর্ষে একজন নিহতের হওয়ার ঘটনায় উপজেলা জাপা সভাপতি আব্দুল লতিফকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
সংর্ঘষ চলাকালে সান্তাহার টাউন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) সানোয়ার হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সান্তাহার পৌর এলাকা জুড়ে এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। শ্রমিক লীগ সদস্য শফিকুল ইসলাম খুনের প্রতিবাদে বিকেল ৪টা থেকে বগুড়া- মহাসড়ক ৫ ঘণ্টা অবরোধ করে রাখা হয়। এতে হাজার হাজার যাত্রী আটকা পড়ে চরম দুর্ভোগে পড়ে। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে রাত ৯টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে অবরোধ সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে, সংর্ঘষ চলাকালে সান্তাহার টাউন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সানোয়ার হোসেনের ভূমিকায় ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে শ্রমিক লীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ফলে তাকে তাৎক্ষণিক সান্তাহার থেকে আদমদীঘি থানায় নিয়ে আসা হয়। রাতে পুলিশ সুপারের এক আদেশে এসআই সানোয়ার হোসেনকে ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।
এদিকে সন্ধ্যার পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুল লতিফকে গ্রেপ্তার করে। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনার পরে শ্রমিক লীগ নেতাকর্মীরা একটি ট্রাক দিয়ে সড়কে বেরিকেড দিয়ে বগুড়া- নওগাঁ সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। ফলে ঢাকা, বগুড়া ও নওগাঁগামী অসংখ্য বাস ছাড়াও পণ্যবোঝাই ট্রাক আটকা পড়ে।
বগুড়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) গাজিউর রহমান জানান, যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় ফাঁড়ির ইনচার্জকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়াও জাতীয় পার্টির সভাপতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।