আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিউ ইয়র্ক সিটি কাউন্সিলের স্পিকার মেলিসা মার্ক ভিবোরিটো কাগজপত্রহীন অভিবাসীদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন, নিউ ইয়র্ক থেকে বহিস্কারের চিন্তা না করে নির্বিঘ্নে কাজ চালিয়ে যান। কোনো অভিবাসীকে অন্যায়ভাবে দেশত্যাগে সমর্থন করবে না নিউ ইয়র্ক সিটি প্রশাসন। প্রয়োজনে সিটি কর্তৃপক্ষ অবৈধ অভিবাসীদের আইনি সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টায় নিউ ইয়র্ক সিটি কাউন্সিল আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেছেন।
তিনি আরো বলেছেন, ‘নিউ ইয়র্ক সিটি হচ্ছে অভিবাসীদের স্বর্গরাজ্য। এই শহর গড়তে তারা নানাভাবে সহায়তা করছেন। তারাই নেপথ্য কারিগর। সংবাদ সম্মেলনে মেলিসা মার্ক আইনি সহায়তায় বিশেষ বাজেট বরাদ্দের কথা জানিয়ে বলেন, ‘বহিঃস্কারের আতঙ্কে না ভুগে আপনারা নির্বিঘ্নে কাজ চালিয়ে যান।’
সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে স্পিকার বলেন, ‘এনওয়াইপিডি কিংবা সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বিভাগ যদি কোনো অভিবাসীকে অন্যায়ভাবে হয়রানি করতে যায়, সে বিষয়েও সিটি প্রশাসনের তরফ থেকে যথাযথ আইনি নির্দেশনা দেওয়া আছে। তারপরও কেউ যদি এ ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হন সঙ্গে সঙ্গে সিটি কাউন্সিলের সংশ্লিষ্ট বিভাগে ফোন করে অবহিত করবেন। পাশাপাশি আইনজীবীকে জানাতে হবে। কোনো ধরনের আইডি বা তথ্য ওই বাহিনীকে দিতে হবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেওয়া পাবলিক অ্যাডভোকেট লেটিসিয়া জেমস বলেন, ‘নিউ ইয়র্ক সিটির ইমেজ ক্ষুণ্ণ নয়, ইমেজ রক্ষায় কাজ করছেন অভিবাসীরা। অভিবাসীরাই আজকের নিউ ইয়র্ক গড়ার পেছনের কারিগর। স্ট্যাচু অব লিবার্টির মান রক্ষায় তারা অঙ্গীকারবদ্ধ।’
সংবাদ সম্মেলনে নিউ ইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী কাগজপত্রহীন অভিবাসীদের সম-অধিকার নিশ্চিতে ২০১৪ সাল থেকে বিনামূল্যে নিউ ইয়র্ক ষ্টেটের পরিচয়পত্র বিতরণের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়। স্পিকার ও সিটি কাউন্সিলের এই ঘোষণায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন নিউ ইয়র্কে বসবাসকারী কাগজপত্রহীন বাংলাদেশিরা।
অভিবাসী ইস্যুতে ২০১৪ সালের শেষ দিকে এক নির্বাহী আদেশ জারি করেন প্রেসিডেন্ট বরাক ওবামা। রিপাবলিকানদের তীব্র বিরোধিতার মুখে প্রেসিডেন্টের ওই আদেশে দেশটির প্রায় ৫০ লাখেরও বেশি কাগজহীন অভিবাসী স্বপ্নের জাল বুনেছিলেন। সেই স্বপ্ন আতঙ্কে রূপ নিয়েছে।