সীতাকুন্ড প্রেসক্লাবে হামলা: আ’লীগের দুঃখ প্রকাশ

0

কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি:: সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবে হামলা ও ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ দু:খ প্রকাশ করেছেন।

গতকাল শনিবার রাতে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে অনুষ্টিত সমঝোতা বৈঠকে এই দু:খ প্রকাশ করেন। এই রকম অনাখাংকিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে আর না ঘটে তার জন্য সীতাকণ্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ প্রতিশ্রুতিও দেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে ঐক্যবধ্য ভাবে সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। সন্ত্রাসীরা কোন দলের নয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দেয়না, ভবিষ্যতেও দেবে না। সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। প্রেস ক্লাবে হামলা ও বিষ্ফোরণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা আইনগত উপায়ে নিষ্পত্তি হবে। প্রেস ক্লাবের ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা সমঝোতা স্বারকে উল্লেখ করা হয়।

চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এজাজ ইউসুফীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌসের সঞ্চালনায় সমঝোতা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহ সভাপতি শহীদুল আলম, সদস্য আসিফ সিরাজ, চ্যানেল আই ব্যুরো প্রধান চৌধুরী ফরিদ, এটিএন বাংলা’র চট্টগ্রাম প্রতিনিধি আবুল হাসনাত, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন সদস্য সাইফুল ইসলাম শিল্পী।

উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন, সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন, পৌরসভার নব নির্বাচিত মেয়র বদিউল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ইছহাক, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্ল্যাহ আল বাকের ভূঁইয়া, যুগ্ন সম্পাদক আ ম ম দিলশাদ, চেয়ারম্যান রেহান উদ্দিন ও সাদাকাত উল্ল্যাহ মিয়াজি। সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন, আহবায়ক এম হেদায়েত, সদস্য সচিব সৌমিত্র চক্রবর্তী, সাবেক সভাপতি সৈয়দ ফোরকান আবু, সহ-সভাপতি এম সেকান্দর হোসাইন, লিটন কুমার চৌধুরী।

উল্লেখ্য, গত ২৭ ডিসেম্বর পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নায়েক অব. শফিউল আলমের সাংবাদিক সম্মেলনকে ঘিরে সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবে হামলা ও বিষ্ফোরণের অনাকাংখিত ঘটনা ঘটায় আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থীর সমর্থকরা। এতে নায়েক শফিউল আলমসহ ১০ সাংবাদিক আহত হন। ঘটনার পর থেকে সাংবাদিকরা হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যায়। শনিবার রাতে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে আয়োজিত ত্রিপক্ষিয় বৈঠকে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এই নি:শর্তে দু:খ প্রকাশ করেন। ঘটনার সাথে জড়িতরা এই ধরনের ভবিষ্যতে আর হবে না উল্লেখ করে সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.