জঙ্গী সম্পৃক্ততা: মাদ্রাসার কার্যক্রম তদন্তে প্রশাসন

0

শহিদুল ইসলাম, উখিয়া : অরগায়নাজেশনের এক নেতা পরিচালিত উখিয়া সীমান্তের করইবনিয়া সদ্যপ্রতিষ্টিত মাদ্রাসার নীতিমালা বহির্ভুত সন্দেহাতিত বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ধর্মীয় লেবাসে শীষ্টাচার বহিরর্ভুত ওই মাদ্রাসার গুটি কয়েক শিক্ষক নামধারী পরিচালনা কমিটির সদস্যদের বেপরোয়া আচরন সহ অপরিচিত লোকজনের আনা গুনা, খেয়াল খুশিমত তাদের মসজিদে আযান দেয়া নামাজ আদায় সহ প্রভৃতি ঘটনা নিয়ে এলাকার ধর্মভীরু গ্রামবাসীর মাঝে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ ও উত্তেজনা। এ নিয়ে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম গুলোতে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশের জের ধরে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও জনপতিনিধির সমন্বয়ে গটিত একটি তদন্ত দল গতকাল শুক্রুরবার জুমার নামাজের সময় আলোচিত ওই মাদ্রাসাটি পরিদর্শন করেন। এ সময় তদন্ত কমিটির নেতৃবৃন্দুরা উপস্থিত শান্তি প্রিয় শত শত মুসল্লিদের উদ্দেশ্য আশ্বস্থ করে বলেন এ প্রতিষ্টানের সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে, নয়তো বা অন্য ৪৫০ টি মসজিদের মত পরিচালিত হবে।

সরজমিন ঘটনাস্থল করইবনিয়া ঘুরে গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, করইবনিয়া গ্রামের উমর আলীর ছেলে বেলাল উদ্দিন স্থানীয় আলহাজ আজিজুর রহমানের জমি জবর দখল করে রাতারাতি মাদ্রাসা সহ মসজিদের কার্যক্রম শুরু করে। এর আগে কথিত বেলাল উদ্দিনকে জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে উখিয়া থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। জামিনে মুক্ত হয়ে বেলাল উদ্দিন তার পিতাকে নিয়ে মালেশিয়া পালিয়ে যায়। তার অর্থায়নে পরিচালিত এ মাদ্রাসার হাল ধরেন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগাইনাজেশনের নেতা দেলোয়ার হোসেন।

অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়–য়া এ রোহিঙ্গা নাগরিক নিজেকে কক্সবাজার সহরেরর বাসিন্ধা পরিচয়ে করইবনিয়ার বহুল আলোচিত দারুল হিকমা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বলে দাবি করছেন। গতকাল শুক্রুবার প্রশাসনের নিয়োগকৃত তদন্ত টিমের নেতা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী রতœাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল কবির চৌধুরী, দেশবিদেশ পত্রিকার সম্পাদক আয়ুবুল ইসলাম সহ স্থানীয় একদল সাংবাদিক ও মুসল্লিরা যখন নামাজের আগে ইমামের বয়ান শুনছিল তখন ও মসজিদে জায়গা না পেয়ে অসংখ্য মুসল্লি ঘটনা প্রত্যক্ষ করার জন্য বাহিরে অপেক্ষা করছিল। প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানান, এ সময় মসজিদের ইমাম ফেনীর সংসদ নিজাম হাজারীর আত্মীয় পরিচয়ধানকারী ইমাম জহিরুল ইসলাম দীর্ঘ বয়ান শেষে মুসল্লিদের সুন্নত পড়ার সুযোগ না দিয়ে সরাসরি খুতবা পড়া শুরু করেন তাও আবার আযান ব্যতিরেকে।

কিছু বাংলা কিছু আরবীর সংমিশ্রনে দেয়া খুতবা নিয়ে মুসল্লিদের মাঝে কানাঘুষা শুরু হলেও তদন্ত কমিটির নির্দেশ থাকায় মুসল্লিরা উজর আপত্তি করেনি। খুতবা পরবর্তি যথারিতি দুই রকাত জুমার নামাজ শেষে ইমাম মুনাজাত না করে আবার ও যখন সুন্নত পড়তে শুরু করেন তখন মুসল্লিদের মাঝে শুরু হয় হৈ ছৈ বাকবিতান্ডা এ সময় মুসল্লিরা মার মুখী অবস্থান নিলে তদন্ত টিম পরিস্থিত নিয়ন্ত্রেনে আনে। পরে মুসল্লিদের উদ্দেশ্য অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী ধর্য্য ধারনের নির্দেশ দিয়ে বলেন ১৫ হাজার মানুষের মধ্যে ৪ জন বিতর্কিত মানুষের কার্যক্রম যখন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে তখন তাদের নিয়মে মসজিদ চলতে পারেনা। তাই এদের বিরুদ্ধে প্রশাসন যাতে প্রয়োজনীয় আইনগত প্রদক্ষেপ নিতে পারে তাই করতে তদন্ত টিম প্রতিবেদন দাখিল করবে।

এ ব্যাপারে, জানতে চাওয়া হলে, উখিয়া কেন্দ্রিয় জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ আনোয়ার সহ শতশত গ্রামবাসী আর এস ও নেতা কথিত দারুল হিকমা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নামধারী রোহিঙ্গা নাগরিক দেলোয়ারকে গ্রেপ্তার পূর্বক মাদ্রাসার সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানান।
#

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.