রাউজান গৃহবধু উর্মী হত্যাকান্ডের মামলা ডিবিতে

0

চট্টগ্রাম অফিস, সিটিনিউজবিডি  :  রাউজানের নোয়াপাড়া কচুখাইনে গৃহবধু কুলসুম আকতার উর্মীর (২৬) হত্যাকাণ্ডের মামলা তদন্ত দায়িত্ব এখন চট্টগ্রাম ডিবি পুলিশের কাছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে এখন মাঠে নেমেছে ডিবির একটি টিম। গতকাল বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ঘটনাস্থল ।
এসময় চট্টগ্রাম ডিবির তদন্ত কর্মকর্তা  ফারুক আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে নেতৃত্বে একটি টিম   স্থানীয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব দিদারুল আলমকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থল পরির্দশন করে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেন। তারা উর্মীর দুই ছেলে ও ঘটনার পর পর ঘটনাস্থলে যারা ছিলেন তাদের সাথে কথা বলেন। পরিদর্শন শেষে  তদন্ত কর্মকর্তা  ফারুক আহমেদ বলেন, মামলাটি অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা করছি। যেহেতু এ ঘটনার ব্যাপারে বিভিন্ন তথ্য আসছে সেহেতু অত্যন্ত সুনিপুনভাবে এ তদন্ত কাজ অব্যাহত থাকবে। আশা করছি সত্য উদঘাটন হবে।
এসময় ডিবি পুলিশের সাথে নিহত উর্মীর দুই ছেলে সন্তান মধ্যে ইশতিয়াক হোসেন (৮) ও ঈশানের বয়স ৪, উর্মীর বাবা মামলার বাদী এনামুল হক মুন্সি, বড় বোন নাজমা আকতার, মমতাজ বেগম পপি, আফরোজা, সুমিসহ অন্যান্য আত্মীয় স্বজন উপস্থিত ছিলেন। মামলার বাদী এনামুল হক মুন্সি বলেন, আমার মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা ফাঁসিতে ঝুলে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, উর্মীর ভাসুররা যে প্রায় সময় তাকে নির্যাতন করতো তা প্রশাসনসহ সবার কাছে জানা। কারণ এ নিয়ে দুটি মামলা হয়েছিল গত বছরে। যে মামলা গুলোতে ভাসুরদের আসামী করা হয়। একটি মামলা স্বামী ইকবাল তার ভাইদের বিরুদ্ধে উর্মীকে নির্যাতন করার কথা উল্লেখ করেছেন। অপর মামলাটি দায়ের করেন উর্মী নিজে বাদী হয়ে। এ থেকে ষ্পষ্ট ভাসুররা মিলেই আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারেনা।
উল্লেখ্য গত ৯ জানুয়ারী উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কচুখাইন গ্রামের কাদের সওদাগরের ৪র্থ পুত্র চট্টগ্রাম বিভাগীয় খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মচার্রী ইকবালের স্ত্রী কুলসুমা আকতার উমীর্র উড়না পেছানো ঝুলন্ত লাশ ঘরের রান্নাঘর থেকে উদ্ধার করে রাউজান থানা পুলিশ। একই দিন রাতে এ ঘটনায় ৭/৮ জনকে আসামী করে রাউজান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত উর্মীর পিতা এনামুল হক মুন্সি।
জানা গেছে উর্মীর স্বামী ইকবালকে মামলার আসামী করা হলেও সে পুলিশের কাছে ভিন্ন ভিন্ন জবানবন্দি দিয়ে আসছিল। প্রথমে তার ভাই ও তাদের পরিবারের সদস্যরা নির্যাতন করে স্ত্রী উর্মীকে হত্যা করেছে বলে জানালেও পরে উর্মী নিজেই আত্মহত্যা করেছে বলে জানায়। এ মামলার আসামীদের মধ্যে রয়েছে মরহুম আবদুল কাদেরের স্ত্রী লায়লা বেগম, ননদ নুর বেগম, পুত্র আকবর হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, সৈয়দ হোসেন, মোয়াজ্জেম হোসেন, ইকবাল হোসেন, ডেজি আকতারসহ আরো কয়েকজন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.