ইউপি নির্বাচন: কৌশলে এগুচ্ছে কুতুবজোমের সম্ভাব্য প্রার্থীরা

0

জামাল জাহেদ, কুতুবজোম: বর্তমান সরকার ঘোষিত আগামী মার্চ মাসের আগে পরে ২১টি উপকুলীয় উপজেলা দিয়ে শুরু হচ্ছে ইউপি নির্বাচন।সম্ভাবনাময় ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে কুতুবজেম ইউনিয়নে সম্ভাব্য কয়েক প্রার্থী বেকায়দায় পড়লেও এগিয়ে যাচ্ছে অনেক প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় ব্যাপক তৎপর শুরু করেছে।অনেকে আবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার সমর্থন পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।প্রার্থী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত জেলার ৬ সভাপতি সাঃসম্পাদকের কথা ঘোষনা করলে,নীতি নির্ধারক পর্যায়ে থাকা এসব প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে ঘনিষ্ট ভাবে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে বলে সংশ্লিষ্টসুত্রে জানা যায়।

উল্লেখ্য যে,মহেশখালী উপজেলার ৮নং ইউনিয়ন হলো কুতুবজোম ইউপি।বর্তমানে ৯টি ওয়ার্ড ও গতবারের বিজয়ী বর্তমান চেয়ারম্যান মৌলভী শফিউল আলম বিএনপি ঘরনার লোক।গেলো বারে জেলা জাতীয় পার্টির জেলা সভাপতি,ও ২বারের সাবেক সফল চেয়ারম্যান আলহাজ্ব কবির আহমদকে পরাজিত করে সে নির্বাচিত হন।যদিও তিনি গত পাঁচ বছরে ইউনিয়ন পরিষদের কোন কর্মকান্ড করতে পারেনি সরকারী বাজেটে তৈরিকৃত নতুন ইউপি ভবনে।জনগনের মাঝে এনিয়ে নানা প্রশ্ন ও দ্বন্ধ।অন্যদিকে এলাকার জনসাধারনের সাথে কথা বলে জানা যায়,আগত ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিটি গ্রামে গ্রামে কমবেশি তিন চার জনের সম্ভাব্য নাম শোনা যাচ্ছে বর্তমান চেয়ারম্যানের বিপরীতে নির্বাচন করার প্রস্তুতি হিসাবে।

স্থানীয় জনগন নিশ্চিত করেন বর্তমান চেয়ারম্যান স্বপদে বহাল থাকার জন্য বড় ধরনের চ্যালেন্জ নিয়ে পুনঃরায় সামনের নির্বাচনে দাড়াবে।সাম্প্রতিক সময়ে সমাপ্ত হওয়া পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার যে নাটকীয়তা ৩২৩টি পৌর আসনে জনগন দেখেছে।সে নাটকীয়তা কে কাজে লাগিয়ে এখন কুতুবজোমের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে অগ্রসর হচ্ছে।জেলা পর্যারের নেতারা যাতে অসন্তুষ্ট না হয় এমন আচরণ যাতে না হয় সেভাবে সতর্কতার সাথে প্রতিটি গ্রামে গনসংযোগ করে যাচ্ছেন বলে জানা যায়।ইতিমধ্যে যদিও জোরেসোরে শোনা যাচ্ছে উপজেলা আঃলীগের প্রভাবশালী সদস্য মোশাররফ হোসেন খোকনের নাম,অন্যদিকে মাঠে রয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক শেখ কামাল,আইয়ুবুর রহমান,মৌলভী গফুর,আব্দুল গফুর প্রকাশ নাগু,ও বর্তমান চেয়ারম্যান শফিউল আলম।তবে ঘটিভাংগা, তাজিয়াকাটা, সোনাদিয়া,কুতুবজোম পশ্চিম পাড়া,মেহেরিয়াপাড়া,খোন্দকারপাড়া প্রতিটি ওয়ার্ড ঘুরে জনগন সুত্রে জানা যায়,সবার মুখে মোশাররফ হোসেন খোকনের নাম,জনগন দাবি যেহেতু তার ঝুলিতে তার বাবার আদর্শ ও ব্যক্তি ক্লিন ইমেজের কারনে কুতুবজোমের তরুন সমাজ তাকেই এতিয়ে রাখছে,বর্তমানে চেয়ারম্যান শফিউল আলমের দৌড়ে।

অনেকে মনে করেন তাদের মাঝেই হবে এবারের ইউপি নির্বাচনে জয় পরাজয়ের বিরাট ব্যবধান।জানা যায়,কুতুবজোমের আঃলীগের রাজনীতিতে বর্তমান সময়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক,এডঃ আরিফুল ইসলাম,এডঃ নুরুলহুদা, শিল্পপতি সবুজ সওদাগর,হোটেল সাগর গাও মালিক সাহেদ,আব্দুল গফুর প্রকাশ নাগু মেম্বার,ও মোশাররফ হোসেন খোকনের নিয়ন্ত্রণে মাঠ পর্যায়ের নেতা কর্মীরা।অনেকে দলীয় প্রতীকে খোকন কে এগিয়ে রাখছে। অন্যদিকে কিছু কিছু ওয়ার্ডে কিছু নেতাকর্মী বর্তমান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কট্রর অবস্থান নিয়ে পরিবর্তন চাচ্ছে।অনেক নতুন আঃলীগের নেতারা দলীয় মনোনয়ন পেতে নীতি নির্ধারকের আগ্রহ অনুগ্রহ পাবার আশা করছে,মাঠ পর্যায়ে নিজেদের অবস্থান রেখে।বর্তমান চেয়ারম্যানের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলা ইউনিয়নের অনেকে মেম্বারকে হাতে নিয়ে পরিস্থিতির সুযোগ নিতে যত রকম কলাকৌশল করা যায়,সে চেষ্টায় রয়েছে বলে জানা যায়।

এ রকম উৎসাহী অনেকেই সংবাদকর্মীদের ফোন করে নির্বাচনে নামার ঘোষনা দিচ্ছেন।অনেকে বিএনপির দলীয় মনোনয়নে দৈলারপাড়া এডঃ আরিফুল ইসলামকে এগিয়ে রাখছেন।দলীয় প্রতীকে এবার চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে এবার গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পাচ্ছেন ইউনিয়ন আঃলীগের সভাপতি আব্দুল গফুর প্রকাশ নাগু,সাঃ সম্পাদক রবিউল আলম,নবনির্বাচিত উপজেলা আঃলীগের সভাপতি আনোয়ার পাশা চৌধুরী ও সাঃসম্পাদক আশেক উল্লাহ রফিক।তাদের সাথে জেলার প্রতিটি প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে জেলা সভাপতি ও সাঃসম্পাদক।তাদের নির্বাচিত তালিকা থেকে যাচাই বাচাই করে কেন্দ্র দলীয় প্রতীকে মনোনয়ন দেবেন।

আঃলীগের স্থানীয় নেতাকর্মী সূত্রে জানা যায়,মহেশখালী উপজেলা আঃলীগের রাজনীতিতে এখন অনেকটা কোনঠাসা অবস্থায় থাকলেও দলের প্রয়োজনে ইউনিয়ন পর্যায়ে কোন প্রভাব পড়বেনা বলে জানান দলের অনুসারীরা।বর্তমানে দলের কান্ডারীর ভুমিকায় যেহেতু মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক সেহেতু সকলে মনে করেন গ্রহনযোগ্য এমন প্রার্থীকে কুতুবজোমের আঃলীগ পাবে বলে প্রত্যাশা করে।অনেক প্রার্থীদের দলের চেয়ে স্থানীয় পর্যায়ে নিজেদের ব্যক্তি ইমেজে অনেকটা জনপ্রিয়তা বলে জানা যায়। সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাদের সমর্থকের সাথে বেশ ফুরফুরে মেজাজে সকলের সাথে যোগাযোগ রাখছেন,দলের মনোনয়ন পেতে।

কুতুবজোম ইউনিয়নের মাঠ পর্যায়ের খবরে উপরে উল্লেখিত নামেই বাতাসে গুন্জন শুনা যায় জোরেশোরে। কুতুবজোমের প্রায় ৩০হাজার জনগনের প্রত্যাশা তারা এমন কোন প্রার্থীকে চায়,যে প্রার্থী কুতুবজোমকে মানবপাচার,আর মাদকের ঘাটি না করে কুতুবজোমের সামগ্রিক উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে ডিজিটাল,সুন্দর শিক্ষিত সমাজ গঠনের মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে সেরা মডেল ইউনিয়ন হিসাবে উপহার দেবে।
………..জেএম

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.