শিক্ষাঙ্গণ, চট্রগ্রাম : নানা আয়োজনে সাদার্ন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের ১২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান সম্প্রতি নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান।
সাদার্ন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের উপদেষ্টা প্রফেসর মহিউদ্দিন খালেদের সভাপতিত্বে আয়োজিত ১২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. নুরুল মোস্তফা, সাদার্ন ইউনিভার্সিটির উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা সরওয়ার জাহান, প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মো. শরীফুজ্জামান, সাদার্ন ট্রাস্ট্রি বোর্ডের সদস্য মো. লিয়াকত আলী চৌধুরী ও প্রফেসর কামাল উদ্দিন, বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এস.কে হাজারী, সাবেক উপাচার্য প্রফেসর এজেএম নুরুদ্দিন চৌধুরী , প্রফেসর সালেহ জহুর, প্রফেসর শওকতুল মেহের, রেজিস্ট্রার ড. ইসরাত জাহান, চট্টগ্রামের বারের সিনিয়র আইজীবীসহ শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা।
প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান বলেন, স্বপ্ন দেখতে হবে, তবে যে স্বপ্ন ঘুমিয়ে দেখি তা স্বপ্ন নয় বরং যা আমাকে ঘুমাতে দেয়না সেটাই স্বপ্ন। আমরা গর্বিত জাতি, ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগে আমাদের এই দেশ। সবার সম্মিলিত সহযোগিতায় অপ্রতিরোধ্য গতিতে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষাই পারে দেশকে বদলে দিতে আর শিক্ষরাই হচ্ছেন জাতি গড়ার কারিগর। অহেতুক তর্ক বা ভুলের কোনো অবকাশ নেই শিক্ষকরাই আমলা তৈরি করেন।
তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র অবকাঠামোর উন্নয়ন হলেই যে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন হয়েছে এটা বলা ঠিক হবে না। দেখার বিষয় হচ্ছে মানব উন্নয়ন বা মানবাধিকারের উন্নয়নে আমরা কতটুকু এগিয়েছি। মানুষের অধিকার বঞ্চিত করে কখনো দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।
উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. নুরুল মোস্তফা বলেন, প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে। সাদার্ন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
সাদার্ন ইউনিভার্সিটির উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা সরওয়ার জাহান বলেন, অনেক ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে সাদার্ন ইউনিভার্সিটি আজ এই অবস্থানে এসেছে। এটা সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল। সাদার্নের শুরুর পথ চলা মসরিন ছিলনা। ট্রাস্টি সদস্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের মিলিত চেষ্টায় আজকের সাদার্ন। শিক্ষকদের সুযোগ্য শিক্ষাদানের ফলে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলোতে কৃতিত্ব অর্জন করে সাদার্নের সুনাম ছড়িয়ে দিচ্ছে। আমাদের নানা সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও গুণগত শিক্ষা ব্যাপারে সাদার্ন সবসময় বদ্ধ পরিকর।
প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মো. শরীফুজ্জামান বলেন. সাদার্ন ইউনিভার্সিটি এখন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে আস্থার জায়গা। গুণগত শিক্ষার মাধ্যমে সবার গ্রহণযোগ্যতা অজর্নে সক্ষম হয়েছে এই ইউনিভার্সিটি। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান উপস্থিতি সাদার্নের অর্জনকে আরও সমৃদ্ধ করলো।
সাদার্ন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের উপদেষ্টা প্রফেসর মহিউদ্দিন খালেদ আমন্ত্রিত অতিথিদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। পরে উপস্থিত সকলে সাংস্কৃতিক আয়োজন উপভোগ করেন।