পুলিশের আগুনে দগ্ধ সেই চা বিক্রেতার মৃত্যু

0

সিটিনিউজবিডি : গ্যাস স্টোভের আগুনে দগ্ধ সেই চা-বিক্রেতা বাবুল মাতুব্বরের (৪৫) মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। ডাক্তারি রিপোর্ট অনুসারে তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। নিহতের পরিবারের দাবি অনুসারে চাঁদা নিয়ে বিরোধে শাহ আলী থানার পুলিশের এক সদস্যের সাথে ধ্বস্তাধ্বস্তির একপর্যায়ে দোকানের গ্যাস স্টোভের আগুনে তিনি দগ্ধ হন। তবে শাহ আলী থানা পুলিশ চাঁদা দাবির কথা অস্বীকার করেছে।

নিহত বাবুল মাতুব্বরের বাসা মিরপুর গুদারা ঘাট এলাকার সাত নম্বর রোডে। ওই এলাকায় তার চায়ের দোকানটি। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে সাড়ে ৯টায় শাহ আলী থানা পুলিশের নামে চাঁদা দাবি করা হয়। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে কেরোসিনের চুলায় লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। এতে দোকানে আগুন লেগে যায়। এতে তিনি অগ্নিদদ্ধ হন। পরে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি আজ মারা যান।

বাবুল মাতুব্বরের ছেলে রাজু জানান, তার বাবা মিরপুর বেড়িবাঁধসংলগ্ন কিংশু সমিতির সামনের ফুটপাতে চা বিক্রি করতেন। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি দোকানে কাজ করছিলেন। এ সময় ওই রাস্তা দিয়ে পুলিশের সোর্স দেলোয়ারসহ আরো কয়েকজন পুলিশ সদস্য যাচ্ছিলেন। তারা বাবার কাছে এসে চাঁদার টাকা দাবি করেন। রাজু আরো বলেন, টাকা না দেয়ায় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একসময় দেলোয়ার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে চায়ের চুলায় (স্ট্রোভ) আঘাত করে।

এ সময় চুলাটি বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে তার বাবার শরীর ঝলসে যায়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাবুলকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে তাকে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তবে বাবুলের পুত্রবধূ মনি আক্তারের অভিযোগ, যার সঙ্গে তার শ্বশুরের ধস্তাধস্তি হয় তার গায়ে পুলিশের পোশাক দেখা গেছে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ গাড়ি নিয়ে চলে যায়। শাহ আলী থানার ডিউটি অফিসার নিয়াজ উদ্দিন বলেন, দেলোয়ার নামে এক ব্যক্তি বিরুদ্ধে এই ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে। সে পুলিশের সোর্স। এর ভিতর অন্য কোনো রহস্য আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.