বাংলাদেশের বোলিংয়ের সাতকাহন

0
রুবেল হোসেনের একটি বিজ্ঞাপন এখন দেখা যাচ্ছে টিভি চ্যানেলগুলোতে। তার মুখে সংলাপ- ‘এরপর আর কেউ বাচাইতে পারবো না, ডাইরেক্ট ভাইঙ্গা দিব!’ কাল মিরপুর স্টেডিয়ামে পাকিস্তানি ওপেনার সরফরাজ আহমেদকে রুবেল যখন স্লিপে সৌম্য সরকারের ক্যাচে পরিণত করলেন, তখন গ্যালারিতে একটাই ডায়ালগ, ‘ভাইঙ্গা দিব’। নিজের প্রথম দুই ওভার শেষে দুই মেডেনে এক উইকেট। শুধু বিজ্ঞাপনে না, মাঠের হিরোও তো রুবেলই। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে কাল রুবেলকে এককভাবে এগিয়ে রাখা যাচ্ছে না। এরপর যখন আরাফাত সানি মোহাম্মদ হাফিজকে বোল্ড করে ফেরালেন, তখন সেটাই সেরা আউট মনে হচ্ছিল। একেবারে কিপটে বোলিংয়ে প্রথম স্পেল শেষ করেন আরাফাত। তিন ওভারে ১১ রানে এক উইকেট। নাসির হোসেন আরও একবার বুঝতে দিলেন না যে, তিনি বিশেষজ্ঞ বোলার নন। ফাওয়াদের ব্যাট-প্যাডের মধ্য দিয়ে ভেঙে দিলেন মিডল স্টাম্প। প্রথম স্পেলে টানা পাঁচ ওভার বল করে নাসির দিলেন মাত্র ১৭ রান।

তখন আড়ালে থেকে গেছেন সাকিব আল হাসান, মাশারাফি ও তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণ যে সাকিবের হাতেই, তা পাকিস্তানের বুঝতে দেরি হয়নি মোটেও। প্রথম স্পেলে টানা ছয় ওভারে ১৮ রানে দুই উইকেট। পেসার তাসকিন অবশ্য শুরুতে উইকেট না পেলেও প্রথম স্পেলে তিন ওভারে এক মেডেনে দেন ১২ রান। বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিং। পাকিস্তানকে আরও কোণঠাসা করতে ইনিংসের মাঝামাঝি অনেকটা সময় মাত্র দু’জন ফিল্ডারকে বৃত্তের বাইরে রাখেন মাশরাফি। বাকি আট ফিল্ডার ৩০ গজের মধ্যে।

তাতেই নাকানিচুবানি খেতে হয়েছে পাকিস্তানকে। তারা ৭৭ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসে। বোলিংয়ে কাউকে এগিয়ে রাখা যাচ্ছে না। মাশরাফি প্রথম স্পেলে সুবিধা করতে পারেননি। পরে তিনিই দেখালেন অভিজ্ঞতার পরিচয়। পাওয়ার প্লে’র সময় হারিস সোহেলকে ফিরিয়ে রানের গতি থামিয়ে দেন। পাকিস্তান ১০০ রান স্পর্শ করে ঠিক ২৯তম ওভারের শেষ বলে। বেশি বোলার থাকার সমস্যাতেই হয়তো ভুগেছেন মাশরাফি। রুবেলের বাকি থেকে যায় তিন ওভার। মাশরাফি ও তাসকিনের দুটি করে ওভার। আরাফাত সানি ও সাকিব আল হাসানই শুধু করেছেন ১০ ওভার করে। সাদ নাসিমের হাফ সেঞ্চুরির (৭৭*) সঙ্গে পেসার ওয়াহাব রিয়াজের ৪০ বলে অপরাজিত ৫১ রানে স্বাগতিকদের বোলারদের কিছুটা দুর্বল মনে হলেও আড়াইশ’ পার করতে দেননি মাশরাফিরা।

বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে উইকেটশূন্য থেকেছেন তাসকিন আহমেদ ও মাহমুদউল্লাহ। প্রথম ম্যাচে ব্যাটসম্যানরাই জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে দায়িত্ব কাঁধে পড়ায় সেটা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন বোলাররা। ৫০ ওভারে ছয় উইকেটে ২৩৯ রানে থেমে যায় পাকিস্তান। সিরিজ জয়ের পথে ব্যাটসম্যানদের কাজটা সহজ করে দেন রুবেল হোসেনরা।

– See more at: http://www.jugantor.com/sports/2015/04/20/251505#sthash.IlvoCkur.dpuf

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.