তখন আড়ালে থেকে গেছেন সাকিব আল হাসান, মাশারাফি ও তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণ যে সাকিবের হাতেই, তা পাকিস্তানের বুঝতে দেরি হয়নি মোটেও। প্রথম স্পেলে টানা ছয় ওভারে ১৮ রানে দুই উইকেট। পেসার তাসকিন অবশ্য শুরুতে উইকেট না পেলেও প্রথম স্পেলে তিন ওভারে এক মেডেনে দেন ১২ রান। বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিং। পাকিস্তানকে আরও কোণঠাসা করতে ইনিংসের মাঝামাঝি অনেকটা সময় মাত্র দু’জন ফিল্ডারকে বৃত্তের বাইরে রাখেন মাশরাফি। বাকি আট ফিল্ডার ৩০ গজের মধ্যে।
তাতেই নাকানিচুবানি খেতে হয়েছে পাকিস্তানকে। তারা ৭৭ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসে। বোলিংয়ে কাউকে এগিয়ে রাখা যাচ্ছে না। মাশরাফি প্রথম স্পেলে সুবিধা করতে পারেননি। পরে তিনিই দেখালেন অভিজ্ঞতার পরিচয়। পাওয়ার প্লে’র সময় হারিস সোহেলকে ফিরিয়ে রানের গতি থামিয়ে দেন। পাকিস্তান ১০০ রান স্পর্শ করে ঠিক ২৯তম ওভারের শেষ বলে। বেশি বোলার থাকার সমস্যাতেই হয়তো ভুগেছেন মাশরাফি। রুবেলের বাকি থেকে যায় তিন ওভার। মাশরাফি ও তাসকিনের দুটি করে ওভার। আরাফাত সানি ও সাকিব আল হাসানই শুধু করেছেন ১০ ওভার করে। সাদ নাসিমের হাফ সেঞ্চুরির (৭৭*) সঙ্গে পেসার ওয়াহাব রিয়াজের ৪০ বলে অপরাজিত ৫১ রানে স্বাগতিকদের বোলারদের কিছুটা দুর্বল মনে হলেও আড়াইশ’ পার করতে দেননি মাশরাফিরা।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে উইকেটশূন্য থেকেছেন তাসকিন আহমেদ ও মাহমুদউল্লাহ। প্রথম ম্যাচে ব্যাটসম্যানরাই জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে দায়িত্ব কাঁধে পড়ায় সেটা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন বোলাররা। ৫০ ওভারে ছয় উইকেটে ২৩৯ রানে থেমে যায় পাকিস্তান। সিরিজ জয়ের পথে ব্যাটসম্যানদের কাজটা সহজ করে দেন রুবেল হোসেনরা।
– See more at: http://www.jugantor.com/sports/2015/04/20/251505#sthash.IlvoCkur.dpuf