চট্টগ্রাম অফিস : অপরাধ ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য নগর পুলিশের পক্ষ থেকে লাগানো ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাগুলো নামিয়ে ফেলা হচ্ছে। বিলবোর্ডের খুঁটির সঙ্গে ক্যামেরাগুলো লাগানো হয়েছিল। সিটি করপোরেশন এবং জেলা প্রশাসন যৌথভাবে গত ১৫ জানুয়ারি থেকে চট্টগ্রাম নগরীতে বিলবোর্ড উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে।
নগরীর চলমান উচ্ছেদ অভিযানে বিলবোর্ডের সঙ্গে নামিয়ে ফেলা হচ্ছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাগুলোও।
নগর পুলিশের দেয়া তথ্যমতে, নগরীর সাতটি প্রবেশপথসহ ২৬টি স্পর্শকাতর পয়েন্টে নগর পুলিশের পক্ষ থেকে ৯৯টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত ৫৭টি ক্যামেরা বিলবোর্ডের সঙ্গে নামিয়ে ফেলা হয়েছে।
বর্তমানে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা সচল আছে ৪২টি। সেগুলোর অধিকাংশও বিলবোর্ডের খুঁটির সঙ্গে লাগানো। কয়েকদিনের মধ্যে সেগুলোও নামিয়ে ফেলা হবে বলে নগর পুলিশকে জানিয়েছে সিটি করপোরেশন।
২০১৪ সালের জুনে নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার বাবুল আক্তারের পরিকল্পনা ও তত্ত্বাবধানে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাগুলো স্থাপন করা হয়েছিল।
বাবুল আক্তার জানান, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাগুলো নামিয়ে ফেলার পর সংশ্লিষ্ট থানায় জমা রাখা হচ্ছে। ক্যামেরাগুলো আবার লাগানো হবে কিনা এ সংক্রান্ত কোন সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মো. শফিউল আলম বলেন, বিলবোর্ড উচ্ছেদের সময় আমাদের সঙ্গে পুলিশ অফিসাররাও থাকেন। সমন্বয় করেই কাজটা হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করেই যে কোন একটা সিদ্ধান্ত নেব।
নগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নগরীর সিটি গেইট, একে খান মোড়, অলংকার মোড়, জিইসি, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেইট, বহদ্দারহাট, অক্সিজেন মোড়, সাগরিকা, সিইপিজেড মোড়, রাহাত্তারপুল, শাহ আমানত সেতু, নিউমার্কেট, কাজির দেউড়ি মোড়সহ ২৬টি পয়েন্টের প্রত্যেকটিতে চার-পাঁচটি করে ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। মোট তিন ধরনের ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। এর মধ্যে আছে পিটিজেড ক্যামেরা যেটা গাড়ির নম্বর সংরক্ষণ করে। ফেস ডিটেক্টর আছে যেগুলো মিটিং-মিছিল, সমাবেশসহ জনসমাগমের চিত্র নিঁখুতভাবে ধারণ করে। এছাড়া ১২০০ টিবিএল ক্যামেরা আছে যেগুলো ওভারঅল ভিউ ধারণ করে।
ক্যামেরা ও বৈদ্যুতিক তার কেনা, সার্ভিসিং এবং স্থাপনে সিএমপির নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় ১৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছিল বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
সূত্রমতে, বিলবোর্ড উচ্ছেদের সময় ক্যামেরা অক্ষত থাকলেও অধিকাংশ বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নতুনভাবে আবারও ক্যামেরা লাগাতে হলে সিএমপিকে আবারও বড় অংকের অর্থের যোগান দিতে হবে।
সিএমপির স্থাপন করা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাগুলো নেমে গেলেও পুলিশ কমিশনারের আহ্বানে ব্যক্তি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্থাপন করা ক্যামেরাগুলো আছে। সেগুলো অপরাধ ও যানজট নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করছে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের কর্মকর্তারা।