রানা প্লাজা ধসের দ্বিতীয় বার্ষিকী

0
রানা প্লাজা দুর্ঘটনার প্রায় দুইবছর হতে চলেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় পোশাক কারখানা দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা সরকারি হিসেবে ১১৩৬ জন। তবে নিহতের এই সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে নিখোঁজের সংখ্যা নিয়ে।

 রানা প্লাজা ধসের দুই বছর পর সরকারি হিসেবে বলছে এখনো পর্যন্ত ‘নিশ্চিত নিখোঁজের’ তালিকায় রয়েছে ১৩৫জন শ্রমিকের নাম। তবে বেসরকারি হিসাবে এই সংখ্যা আরো বেশি।

সরকারি, বেসরকারি এত তৎপরতা, ডিএনএ টেস্ট- এসব কিছুর পরেও এই শ্রমিকরা এখনো নিখোঁজ রয়েছে।

শায়লা আক্তার নামের একজন নিখোঁজ শ্রমিকের বোন, রেশমি বলছিলেন, ধসের সময় শায়লা রানা প্লাজাতেই ছিলেন। ঘটনার পর রানা প্লাজা, হাসপাতাল, অধরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়, কবরস্থান, কোথাও বাদ রাখেননি বোনকে খুঁজতে। কিন্তু দুই বছরেও তিনি তার বোনকে খুঁজে পাননি।

রানা প্লাজার নিখোঁজ শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করেছেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির তাসলিমা আক্তার।

তিনি বলেন, যখন লাশ হস্তান্তর করা হয়, তখন সব লাশের ডিএনএ নমুনা রাখা হয়নি। সব ডিএনএ রাখা হলে হয়তো কিছু নিখোঁজের খোঁজ পাওয়া যেতো। উদ্ধার কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পন্ন না হওয়া, লাশ হস্তান্তরে অব্যবস্থাপনা, একজনের লাশ আরেকজনের ভুল করে নিয়ে যাওয়া, সরকারের মনিটরিংয়ের অভাব, এসব কারণেই এত নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে।

রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় নিখোঁজের তালিকা তৈরিতে সরকার, সেনাবাহিনী, শ্রমিক ও মালিক সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে কমিটি তৈরি করা হয়। পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে নমুনা নিয়ে মরদেহের নমুনার সাথে মেলানো হয়।

বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তর বলছে, এ পর্যন্ত ১৭৭ জনের ডিএনএ মিলে যাওয়ায় তাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছে ১৩৫ জন। আর জুরাইন কবরস্থান ১১৪জনের কবর রয়েছে।তাদেরও কোন পরিচয় এই দুইবছরেও পাওয়া যায়নি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.