কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুন্ড : চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে উপজেলাধীন মাদামবিবির হাট চেয়ারম্যানঘাট এলাকায় স্কুলের পিকনিকের বাস উল্টে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকসহ ৫০ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এ দূর্ঘটনাটি ঘটে। দূর্ঘটনায় পিকনিকের বাসে থাকা ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকগনকে কুমিরা ফ্যায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় এলাকাবাসী উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করে। এদের মধ্যে ৫/৬জনের অবস্থা আশংঙ্খাজনক বলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জানান।
জানা যায়, নোয়াখালী জেলার সোনাগাজী ডাকবাংলা “আল-হেরা একাডেমি”র ছাত্র-ছাত্রী (প্লে-পঞ্চম শ্রেণির), শিক্ষক ও অভিভাবকসহ মোট ৮১জন (ফেনী জ-১১-৩০৩৪) সকালে চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার পারকির চর পিনকিনে উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পিকনিক শেষে ফিরতি তাদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে বিকাল ৫টায় রওনা দেয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় সীতাকুন্ড থানার মাদামবিবিরহাট চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকায় অতিক্রমকালে ড্রাইভার স্কুল বাসটি বেপরোয়া চালিয়ে রাস্তামাঝ খানে থাকা আইলেনের উপরে উঠিয়ে দেয়, যাতে করে পুরো বাসটি তাৎক্ষনিক উল্টে যায় এবং এতে করে বাসে থাকা সকল ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকগণ চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন এসে তাদের ক্ষমতার বলে পুরো বাসটিকে দার করিয়ে ফেলে। পরে বাসে থাকা ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকগণ আস্তে আস্তে বের হয়ে আসে। স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিস এর কর্মীগণ তাদেরকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করে।
বাস যাত্রী অভিভাবক কালা মিয়া যানান, নির্দিষ্ট সময় পৌছানোর জন্য বাস চালক অনেক আগ থেকে বেপরোয়া ভাবে বাস চালিয়ে যাচ্ছিলেন। অনেক বার বারণ করা সত্ত্বেও সে তার গাড়ির গতি কমালো না । যার পরিণতি হল এই ভয়ানক দূর্ঘটনা। আমার দেখা অনুযায়ী বাসে থাকা হেলপার পা ছিন্ন বিছিন্ন হয়ে গেছে।
বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি, শহিউল্ল্যাহ্ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দূর্ঘটনার খবর শুনে তাৎক্ষনিকভাবে আমি দূর্ঘটনাস্থলে আসি। আহতদেরকে ফায়ার সার্ভিস এবং এলাকাবাসীর সহযোগিতায় চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করি। তবে এদের মধ্যে ৫-৬জনের অবস্থা আশঙ্খাজনক বলে তিনি জানান।