টোল আদায়ে তৈলারদ্বীপ সেতুতে বিড়ম্বনার শেষ নেই

0

কল্যাণ বড়ুয়া মুক্তা, বাঁশখালী: শঙ্খ নদীর তৈলারদ্বীপ সেতু দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসীর একটি মাইলফলক হলেও এই সেতুটি নির্মাণে যেমন ইতিহাস রয়েছে তেমনি ভাবে এই সেতু দিয়ে পারাপারে যাত্রীদের অন্তহীন বিড়ম্বনার কোন শেষ হচ্ছেনা।

বর্তমানে এই সেতুর উপর যে টোল আদায় করা হচ্ছে তাতে কোন ধরনের নিয়ম নীতিরও তোয়াক্কা করা হয়নি বলে যান বাহন শ্রমিক থেকে শুরু করে সর্বস্তরের জনগণ বার বার দাবী করে আসলেও শঙ্খ নদীর উপর নির্মিত তৈলারদ্বীপ সেতুর টোল নিয়ে কার্যকর ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে না সওজ কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে এই সেতুর উপর আদায়কৃত টোল স্মরণকালের সকল টোলকে হার মানাচ্ছে বলে যাত্রী সাধারণের অভিযোগ। তাছাড়া টোল আদায়ে নেই কোন নিয়মনীতি।

যেখানে মিনি বাস ১৫ টাকা মাশুল আদায় করা হয় সেক্ষেত্রে কারে মাশুল আদায় করা হচ্ছে ৪০ টাকা। অপরদিকে সিএনজির ১৫ টাকা মাশুল ধরা হলেও অনেক আন্দোলন সংগ্রামের পর তা কমিয়ে ৮ টাকা করা হয়েছে। কর্ণফুলীর তৃতীয় সেতু থেকে শুরু করে চট্টগ্রামের অপরাপর সেতু গুলোতে মোটর সাইকেল, রিক্সা ভ্যান, বাই সাইকেল ও ঠেলা গাড়িতে কোন ধরনের টোল আদায় না করলেও শঙ্খ নদীর তৈলারদ্বীপ সেতুতে সেই টোল দিতে বাধ্য করা হয়। শঙ্খ নদীর তৈলারদ্বীপ সেতু নির্মাণের জন্য দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী আনোয়ারা, চকরিয়া, পেকুয়া, কক্সবাজার, মহেশখালী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের জনগণের দাবীর প্রেক্ষিতে এই সেতু নির্মাণের জন্য ২০০১ সালের ১৭ ই জানুয়ারী বর্তমান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিত্তি প্রস্থর স্থাপনের মাধ্যমে কাজের শুভ সূচনা করেন।

প্রায় ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলে ২০০৬ সালের ২৯শে আগষ্ট তৎকালীন প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এই সেতুর উদ্ভোধন করেন। পরবর্তীতে উদ্ভোধনের পর থেকে এই সেতুর উপর টোল ধার্য্য করা হলেও দিন দিন এই টোল বৃদ্ধি পেতে থাকে। অথচ শঙ্খ নদীর উপর একই পর্যায়ের আরো ২টি সেতু রয়েছে। দোহাজারীতে এবং চন্দনাইশ সাতকানিয়ার খোদার হাটে। ওই সব সেতুতে কোন ধরনের টোল আদায় করা না হলেও শঙ্খ নদীর তৈলারদ্বীপ সেতুর দীর্ঘদিন যাবৎ টোল আদায় এবং দিনে দিনে তা আরো বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে।

দেশীয় টাকায় নির্মিত এই সেতুর ব্যয়ভার নির্বাহের জন্য আর কত টোল আদায় করতে তা সাধারণ জনগণের জিজ্ঞাসা। শঙ্খ নদীর তৈলারদ্বীপ সেতু নির্মাণের ইতিহাস যেমন রয়েছে তেমনি এই সেতু দিয়ে পারাপারে যাত্রীদের বিড়ম্বনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ। তাছাড়া বর্তমান ইজারাদার কর্তৃপক্ষ মেসার্স কবির কনষ্ট্রাকশন এর দায়িত্বরত টোল আদায়কারীরা যাত্রীদের কাজ থেকে নানা ভাবে জোরপূর্বক টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে বার বার অভিযোগ করা হচ্ছে। বিগত দিনে দক্ষিণ চট্টগ্রামের শ্রমিক সংগঠন ও সাধারণ জনগণ এ ব্যাপারে আন্দোলন সংগ্রাম করলেও বাস্তবে সিএনজি’র টোল কমানো ছাড়া আর কিছুই করা হয়নি। এই সেতুর উপর বর্তমানে নির্ধারিত টোল কমানো সহ সাধারণ যাত্রীদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য সার্বিক হস্তক্ষেপ কামনা করেন সাধারণ জনগণ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.