নেপালের ধ্বংসস্তূপ থেকে ২২ ঘণ্টা পর, শিশুর কান্না

দু’এক ঘণ্টা নয়, টানা ২২টি ঘণ্টা এভাবেই কাঠমান্ডুর ধ্বংসস্তূপের নিচে শুয়েছিল শিশুটি। নড়াচড়ার জায়গা ছিল না। শুধু পেয়েছে কোনোরকমে শ্বাস নেয়ার বাতাসটুকু।
ধ্বংসস্তূপের হঠাত্‍‌ কেঁদে উঠে শিশুটি। হয়তো খিদের তাড়নায়। সেই কান্না কানে পৌঁছতে না পৌঁছতেই ছুটে আসেন অদূরে থাকা নেপালি জওয়ানরা। নিষ্প্রাণ নিথর দেহ নিমেষে মিলেয়ে যায়। ক্লান্ত-বিমর্ষ মুখে অনাবিল আনন্দ। নেপালের ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিতই উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে।
উদ্ধারকারী নেপালি জাওয়ানরা জানিয়েছেন, চার মাসের ছেলে শিশুটির গায়ে দুর্যোগের কোনো আঁচড়টি পর্যন্ত লাগেনি। সুস্থই আছে সে। অন্তত প্রাথিমক মেডিক্যাল পরীক্ষা সে কথাই বলছে।
যেখান থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়, সেই পথ দিয়ে ঘণ্টাখানেক আগেই ঘুরে যায় নেপালি জওয়ানরা। তখনো তারা টেরটি পাননি। বুঝতে পারেননি ধ্বংসস্তূপের নিচে কেউ জীবিত আছে।

শিশুটির কান্না শুনেই ফের ফিরে আসেন তারা। একেই বলে রাখে আল্লাহ মারে কে। তবে শিশুটিকে উদ্ধার করা গেলেও তার পরিবারের কারো সন্ধান মেলেনি

এ বিভাগের আরও খবর

Comments are closed.