বাঁশখালী পুলিশের সাড়াশী অভিযান, গা ঢাকা দিয়েছে অপরাধীরা

0

বাঁশখালী প্রতিনিধি :  বাঁশখালী উপকূল হয়ে বিগত ২০১২ সাল থেকে মানবপাচারের যে কার্যক্রম শুরু হয়েছিল তা এখনও পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন সাগর উপকূলে বসবাসকারী জনগণ। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে ফিশিং বোটের মাধ্যমে মালেয়েশিয়া পাচারকালে বিশাল গ্রপের মধ্য থেকে ১১২ জনকে আটক করা হয়েছিল। সেই সময়ে বেশ কয়েকজন চিহ্নিত মানবপাচারকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও পরবর্তীতে তা আবার থেমে যায়। এরপর থেকে একের পর এক বিভিন্ন গ্রপে বিভক্ত হয়ে বাঁশখালীর ছনুয়া, গন্ডামারা, সরল, খানখানাবাদ ও বাহারছড়া উপকূল দিয়ে সাগর পথে মালেয়েশিয়া গমনের অসংখ্য অভিযোগ এবং বেশ কয়েকবার আটকও করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি সময়ে থাইল্যান্ড ও মালেয়েশিয়া গণ কবর আবিস্কার হওয়ার পর বাঁশখালী হয়ে পাচারকারীরা কি অবস্থায় আছে সেই চিন্তায় অস্থির পরিবার পরিজন। বিশেষ করে বাঁশখালীর বেশ কয়েকজন চিহ্নিত মানবপাচারকারীর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবৎ অভিযোগ থাকলেও তাদের সম্প্রতি সময়ে দুই একজনকে গ্রেফতার করা হলেও বাকী পাচারকারীরা গা ঢাকা দিয়েছে বলে জানান থানা পুলিশ। তবে বাঁশখালীর পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরের কোলঘেষে উপকূল, অন্যদিকে পাহাড় বেষ্টিত সমতল ভূমি। যার দরুন এ উপজেলাকে সন্ত্রাসীরা তাদের নিরাপদ আবাস্থল হিসেবে বেছে নিয়েছে। বিগত দিনে বাঁশখালীর পাহাড়ে অস্ত্র সহ একটি সন্ত্রাসী গ্রপকে গ্রেফতারের পর বাঁশখালী থানা পুলিশ বাঁশখালীর পূর্বের পাহাড়ি অঞ্চল গুলোতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বেশ কিছু স্থানে তল্লাশী ও অভিযান পরিচালনা করে। অপর দিকে সাগর পথে মালেয়েশিয়া পাচার সহ সাগরে জলদস্যুতার সাথে যারা জড়িত তাদের বেশ কয়েকজনকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। সন্ত্রাসীরা যতই শক্তিশালী হোক না কেন আইনশৃংখলা বাহিনী তাদেরকে আইনের আওতায় আনার ল্েয চলতি মে মাস জুড়ে মানব ও ইয়াবা পাচার রোধে সাড়াশী অভিযান। এ অভিযানে গতকাল ভোর সকাল পর্যন্ত চিহ্নিত ডাকাত, মানব ও ইয়াবা পাচারকারী, বিভিন্ন মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী সহ আটক শতাধিক।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার মজুমদার দায়িত্ব নেওয়ার পর পুরো এলাকায় সাড়াশী অভিযান পরিচালনা করছে। এ অভিযানে ১লা মে ছনুয়া এলাকা থেকে মানবপাচারকারী মূলহোতা সফিউল আলমকে গ্রেফতারসহ ১২ জন মালেয়েশিয়াগামী নাগরিককে উদ্ধার করে। তাছাড়া মে মাস জুড়ে বিভিন্ন এলাকার চিহ্নিত ডাকাত, সন্ত্রাসী ও ৮ জন সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে আটক করে। এ অভিযানের ফলে বাঁশখালীর মানবপাচারকারীর ৩৪ সদস্য সিন্ডিকেটের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করলেও বাকীরা গা ঢাকা দিয়েছে। তবে তাদের হন্য হয়ে খুঁজছে পুলিশ। উপকূলে চলছে নজরদারি। সাড়াশী অভিযানের ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার ভোর সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক ৯ আসামীকে আটক করেছে। থানা পুলিশের এ ধরনের অভিযান পরিচালিত হওয়ায় এলাকাবাসীর মুখে সন্তুষ্টির ছাফ ফুটে উঠেছে। তারা এ ধরনের অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়ে আইনশৃংখলা রায় পুলিশের ভূমিকা এমনই হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন। অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার মজুমদার জানান, বাঁশখালী উপজেলাটি সাগর ও পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় বিভিন্ন এলাকা থেকে সন্ত্রাসীরা নিরাপদ ঘাটি হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল দীর্ঘদিন থেকে। মানবপাচার নিয়ে যেখানে মানবতা বিপর্যয়ের মুখে সেখানে আমার এ এলাকা সাগর উপকূল হওয়ায় ঐ এলাকায় নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর তাদের আটকে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে। বাঁশখালীর মানুষকে শান্তিতে বসবাসের উপযোগী করে তোলার জন্য বাঁশখালী থানা পুলিশ সব সময় সচেষ্ট। এজন্য বাঁশখালীর সকল শ্রেণির জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করি আইন শৃংখলা

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.