ভারতের করিমগঞ্জে হারিছ চৌধুরী , দাড়ি রেখে তাবলীগ জামাতে

0

জুবায়ের সিদ্দিকী : বিএনপির সরকারের আমলে আলোচিত – সমালোচিত ব্যক্তি ছিলেন আবদুল হারিছ চৌধুরী। দোর্দন্ড প্রভাবশালী এই রাজনীতিবীদ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রি খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব এবং আলোচিত হাওয়া ভবনের আর্শীরবাদ হয়ে অসীম ক্ষমতাধর ছিলেন হারিছ চৌধুরী। জোট সরকারের পতনের পর পর হাওয়া ভবন ছেড়ে হাওয়া হয়ে যান হারিছ চৌধুরী।

২০০৭ সালের জানুয়ারী মাসে সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে তার নানারবাড়ী করিমগঞ্জের বদরপুরে চলে যান। এরপর সেখানে কিছুদিন থাকার পর গুহাটি হয়ে শিলং অবস্থান করেন। সেখান থেকে কলকাতা ও বোম্বে হয়ে লন্ডনে চলে যান। এরপর আবার তিনি করিমগঞ্জে বদরপুর ফিরে এসেছেন বলে জানিয়েছেন তার স্বজনেরা। করিমগঞ্জ ঘুরে এসে তার স্বজনেরা এই প্রতিবেদককে অবহিত করেন যে, করিমগঞ্জ শহরে সির্র্টিসেলের নের্টওয়ার্ক রয়েছে।

বিএনপি নেতা ও সাবকে পররাষ্ট্র মন্ত্রি মোরর্শেদ খানের মালিকাধীন সির্টিসেলের নেটওয়ার্ক রয়েছে বদরপুর, করিমগঞ্জ, কানিশাইল, মাইড্রি, রাউত গ্রাম, নিলামবাজার পর্যন্ত। হারিছ চৌধুরীর জন্য এই নের্টওয়ার্ক বসানো হয়ছেে বলে জানান বশিষ্টিজনরা । অর্থাৎ প্রায় ৪০ কিলোমিটার জুড়ে এই নের্টওয়ার্ক রয়েছে । করিমগঞ্জ শহর থেকে সিটিসেল ফোন থেকে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সব জায়গায় ফোন করা যাচ্ছে।

সালাউদ্দিন আহমদ সিলেটের জকগিঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাড়ী জমিয়েছেন বলে রয়েছে গুনঞ্জন। বর্তমানে হারিছ চৌধুরী দাড়ি রেখে তার শারীরিক গঠন বদলে যাওয়াতে তিনি নিবিঘেœ চলাফেরা করছেন।হারিছ চৌধুরীর সাথে সালাউদ্দিনের মধ্যে কোন যোগসূত্র রয়েছে কিনা তা গয়েন্দারা চিন্তাভাবনা করছেন। করিমগঞ্জ থকেে শিলং প্রায় ২৩০ কিলোমিটার হবে।

অন্যদিকে সিলেটের তামাবিল সীমান্ত থেকে শিলং এর দূরত্ব মাত্র ৬৫ কিলোমিটার। তার স্বজনেরা জানিয়েছেন হারিছ চৌধুরী করিমগঞ্জের বদরপুরে এবং তিনি তবলিগ জামাতের লোকজনের সাথে মিশে গেছেন।

২০০৭ সাল থেকে আট বছর যাবত হারিছ চৌধুরী দেশ ত্যাগী ও আত্নগোপনে আছেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.