মানব পাচারকারী রেবি ও নুরুল কবির চট্টগ্রামে অবস্থান করছেন

0

শহিদুল ইসলাম, উখিয়া (কক্সবাজার) :  কক্সবাজারের ২ সীমান্ত উপজেলা উখিয়া ও টেকনাফের এমন কোন এলাকা নেই যেখানে মানব পাচারকারী নেই। মানব পাচার ও ইয়াবা ব্যবসা করে অনেকেই এখন কোটিপতির তালিকায় নাম উঠিয়েছে। এ কাজে জড়িত রয়েছে আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জামায়াত ইসলামী। বিগত কয়েক বছর ধরে ইয়াবা ও মানব পাচারকারীদের রয়েছে বিশাল অট্টালিকা, আলিশান বাড়ি, দামি গাড়ি। উখিয়া-টেকনাফে জড়িত রয়েছে দেড় শতাধিক দালাল। পুরুষের পাশাপাশি নারী দালালদেরও বিচরণ রয়েছে। তাদের একজন কক্সবাজারের উখিয়ার উপকূলীয় জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনার পাড়া গ্রামের শীর্ষ নারী পাচারকারী রেজিয়া আক্তার রেবি ওরফে রেবি ম্যাডাম। তিনি একাই মানব পাচার করে অল্প সময়ে অনেক টাকার মালিক বনে যায়। তার নামে-বেনামে কক্সবাজারের সরকারি বেসরকারি ব্যাংকে রয়েছে একাউন্ট। বর্তমানে গডমাদার রেবি ম্যাডাম চট্টগ্রামে অবস্থান করছেন বলে এলাকায় জনশ্র“তি রয়েছে। রেবি ম্যাডামের স্বামী নুরুল কবিরকে নিয়ে সাগর পথ দিয়ে অসংখ্য মানুষকে মালয়েশিয়ায় পাচার করেছে বলে স্থানীয় আইন শৃংখলা বাহিনী জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। পরে পুলিশের প থেকে রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তার স্বামী নুরুল কবিরও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত একজন শীর্ষ মানব পাচারকারী। সেও ২ বার উখিয়া থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। বর্তমানে রেবি ও নুরুল কবির চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের একটি ভাড়া বাড়িতে অবস্থান করছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ওই ২ পাচারকারীর বিরুদ্ধে উখিয়া ও কক্সবাজার থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ আইনে ৫টি মামলা রয়েছে। মানব পাচারকারী নুরুল কবিরের বিরুদ্ধেও রয়েছে মানব পাচারের ছয়টি মামলা।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, মতাসীন দলের শীর্ষ নেতাদের আশীর্বাদ থাকায় মানব পাচার মামলা থেকে প্রতি বারেই আইনের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে আসেন। ইতিমধ্যেই উখিয়ার উপকূলীয় জালিয়াপালং ইউনিয়নের অন্যান্য মানুষকে পেছনে ফেলে রেবি ম্যাডাম কোটিপতির তালিকায় নাম উঠান।
স্থানীয় জালিয়াপালং ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহাম্মদ বলেন, মানব পাচার ও ইয়াবা ব্যবসা প্রতিরোধ করতে প্রতিদিন কমিউনিটি পুলিশের প থেকে স্থানীয় আইন শৃংখলা বাহিনীকে সহযোগীতা দিয়ে যাচ্ছে।
জালিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোছাইন চৌধুরী বলেন, উপকূলীয় জালিয়াপালং ইউনিয়নে ৫০ জন মানব পাচারকারীকে ধরতে পারলে ২০ হাজার লোক বাঁচবে। রেবি ও নুরুল কবির ২ জনের কারণে এলাকার সুনাম নষ্ট হয়েছে। উখিয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খান বলেন, প্রতিদিন মানব পাচারকারী ধরতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েজন দালালকে আটক করে কক্সবাজার জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। কক্সবাজার গোয়েন্দা পুলিশের ওসি দেওয়ান আবুল হোসেন বলেন, রেবি ও নুরুল কবির সহ অপরাপর মানব পাচারকারীদের ধরতে কাজ করছেন। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ জানিয়েছেন, মানব পাচারকারী যতই শক্তিশালী হোক, তাকে ধরা পড়তেই হবে। আমরা এসব মানব পাচারকারীকে গ্রেফতার করতে বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.