সিটিনিউজবিডি : বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কলাবাগান মাঠে ঢাকা উত্তর ছাত্রলীগের সম্মেলনে মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘খালেদা জিয়া চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে মানুষ হত্যা করেছেন। সন্ত্রাসী ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। কিন্তু তিনি আন্দোলন সফল করতে পারেননি। তাই আন্দোলনে ব্যার্থ হয়ে তিনি ঘরে ফিরে গেছেন। তিনি বুঝতে পেরেছেন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ হত্যা করে আন্দোলন সফল করা যায় না। এ জন্য তিনি নিস্তব্ধ ও চুপ হয়ে গেছেন।’ ৬৯ এর গনঅভ্যূত্থানের অন্যতম সংগঠক ও সাবেক ছাত্রলীগের এই নেতা সংগঠনের গৌরব ধরে রাখতে নেতাকর্মীদের সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ছাত্রলীগের ইতিহাস গৌরবের। কিন্তু কোনো সুবিধাবাদী যেন ছাত্রলীগে প্রবেশ করে সুবিধা না নিতে পারে সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।’,
‘আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এখন চুপ হয়ে গেছেন। কারণ তিনি বুঝতে পেরেছেন সন্ত্রাস ও পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ হত্যা করে অন্দোলন সফল করা যায় না।’
ভারতের কাছ থেকে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা বাংলাদেশ নিশ্চয়ই পাবে, এমন আশাবাদ ব্যাক্ত করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন সকল সূচকে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে। ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সূবর্ণজয়ন্তীর আগেই দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে হবে।’ সেই সঙ্গে ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী পালন করার জন্য এখন থেকে সবাইকে প্রস্তুতি নিতে বলেন তিনি।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, ধানমণ্ডি এলাকার সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদার, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইসহাক মিয়া, সাধারণ সম্পাদক তাসভীরুল হক অনু। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম রবিউল ইসলাম সোহেল। এ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক রানা।