পাচার হওয়া মানুষগুলো দুর্ভোগের শিকার – দালাইলামা

0

সিটিনিউজবিডি  :    মিয়ানমারের নিপীড়িত মুসলিম জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের সহায়তায় নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অং সান সুচিকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিব্বতী নেতা দালাইলামা।

এ ঘটনায় মর্মাহত দালাইলামা বলেন,‘এটা যথেষ্ট নয়। এই মানুষগুলো এতটা দুর্ভোগের শিকার। অথচ আমরা তাদের জীবন তাদের মঙ্গলের কথা চিন্তা করছি না। এটা ঠিক না।

দেশটির বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর হাতে উৎপীড়িত হয়ে ঘর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে বহু রোহিঙ্গা। অনেকে আবার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য বেপরোয়া হয়ে পাড়ি জমিয়েছে সাগরে। এদের অনেকেই মানব পাচারকারীদের নির্মমতার শিকার হয়ে এখন সাগরে ভাসছে। এসব ভাগ্যহত রোহিঙ্গাদের করুণ কাহিনী নিয়মিত প্রচারিত হচ্ছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। কিন্তু এদের দায় নিতে চাইছে না মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। তারা এদেরকে বাংলাদেশি নাগরিক বলে প্রচার করারও চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু এ বিষয়ে রহস্যজনকভাবে নীরব রয়েছেন মিয়ানমারের বিরোধী নেত্রী অংসান সুকি। ধারণা করা হচ্ছে, নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনে ভোট হারানোর ভয়ে তিনি এ ইস্যুতে এখনো মুখ খুলছেন না।

শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী নেতা দালাইলামা মনে করছেন, রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে সুচিকে চুপ থাকলে হবে না, তাকে অবশ্যই সোচ্চার হতে হবে। তিনি বলেন, ২০১২ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যখন জাতিগত সংঘাত চলছিল, তখন রোহিঙ্গাদের জন্য কিছু করতে তিনি সু চির প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। লন্ডন ও চেক প্রজাতন্ত্রেও সুচিকে তিনি রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা বলার জন্য আহ্বান জানান। ওই সময় সু চি দালাইলামাকে জানান, এ ব্যাপারে কিছু জটিলতা রয়েছে।

আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছেন তিব্বতের এই আধ্যাত্মিক নেতা। এর আগে তিনি ‘দা অস্ট্রেলিয়ান নিউজপেপার’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব মন্তব্য করেছেন। সুচিকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন,‘তার নিশ্চুপ থাকাটা সত্যিই দু:খজনক। আমি আশা করি নোবেল বিজয়ী অং সান সুচি এ বিষয়ে কিছু অন্তত করবেন।’

এদিকে চলতি সপ্তাহে আরো সাড়ে ৩ হাজার রোহিঙ্গা অভিবাসনপ্রত্যাশী থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া পৌঁছেছে। এখনো সাগরে ভাসছে আরো হাজার হাজার রোহিঙ্গা। থাইল্যান্ডের সংখলা প্রদেশে চলতি মাসের গোড়ার দিকে সাতটি নির্যাতন শিবির এবং ১২টির গণকবর আবিষ্কৃত হয়েছে। সম্প্রতি মালয়েশিয়াতেও ৩০টির বেশি গণকবর ও শিবির খুজে পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে এসব কবরে যাদের লাশ পাওয়া গেছে তাদের সিংহভাগই রোহিঙ্গা।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.